ভারত কিনলে অন্য কোথাও এফ-২১ যুদ্ধবিমান বেচবে না আমেরিকা!

ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে চুক্তি করতে পারলে পৃথিবীর আর কোনো দেশকে এফ-২১ যুদ্ধবিমান বেচবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা লকহিড মার্টিন।১১৪টি যুদ্ধবিমান কিনতে গত মাসে প্রারম্ভিক টেন্ডার ডাকে ভারতীয় বিমানবাহিনী, যার আওতায় যুদ্ধবিমান সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য চাওয়া হয়।
১৮০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ওই টেন্ডার পেতেই মরিয়া লকহিড মার্টিন।তাই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে ১১৪টি যুদ্ধবিমানের বরাত পেলে, বিশ্বের আর কোনো দেশকে এফ-২১ যুদ্ধবিমান বেচবে না তারা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেয়া সাক্ষাত্কারে ভারতে লকহিড মার্টিন সংস্থার স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিবেক লাল জানান, ‘‘ভারতের কাছ থেকে বরাত পেলে পৃথিবীর আর কোনো দেশকে ওই বিমান বা ওই বিমানের কোনো প্রযুক্তি বেচব না আমরা।আমাদের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের চাহিদাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিই আমরা। তাই এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’’
তিনি আরো জানান, এফ-২১ যুদ্ধবিমান এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভারতের ৬০টি বিমানবাহিনী ঘাঁটি থেকেই সেগুলো পরিচালনা করা যায়।এতে উন্নত প্রযুক্তির ম্যাট্রিক্স ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিন যুদ্ধ প্রযুক্তি রয়েছে। শক্তিশালী অস্ত্র বহন করতেও সক্ষম এই যুদ্ধ বিমান।সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বালাকোট অভিযানের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছে ভারতীয় বিমানবাহিনী, যাতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা আরও আটোসাঁটো করা যায়।আর সেই প্রক্রিয়াতে সামিল হতে চেষ্টা করছে লকহিড মার্টিন সংস্থা। সূত্রের খবর, বরাত পেতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা এবং সে কারণেই এ রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিবেক লাল আরও জানান, ভারতকে শুধু যুদ্ধবিমান বেচাই নয়, এ দেশে টাটা গ্রুপকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এফ-২১ উত্পাদনেও সাহায্য করবে তাদের সংস্থা, যা ভারতের সার্বিক সামরিক সরঞ্জাম উত্পাদনে সহায়তা করবে।তবে ১১৪টি যুদ্ধবিমানের বরাত পেতে ম্যাকডনেল ডগলাস বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিয়োরিটি সংস্থার এফ/এ-১৮, দাসোঁর রাফাল, ইউরোফাইটার টাইফুন, রাশিয়ার মিগ ৩৫ এবং সাব গ্রিপেন-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা লকহিড মার্টিনের। ১১৪টি যুদ্ধবিমানের বরাত কে পায়, তা সময়ই বলবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.