পাকিস্তানি আকাশপথে ভারতীয় বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ৩০ মে পর্যন্ত
চলতি মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশপথে ভারতীয় বিমানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ভারতীয় লোকসভা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা না ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।-খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় একটি ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ওপর এক কাশ্মীরি তরুণের আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।দুই দেশই পরস্পরের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং আকাশ যুদ্ধও হয়েছে। সংকট কমে যাওয়ার পর পাকিস্তানি বিমানবন্দরের কার্যক্রম আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করা বিদেশি বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে উড়াল দিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এ বিধিনিষেধে ইওরোপ থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ফ্লাইটে ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়েছে। পাকিস্তানি বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মুস্তফা বেগ বলেন, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আকাশপথে বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। পরবর্তীতে আমরা পরিস্থিতির পুনর্মূল্যায়ন করবো।
পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশপথ খুলে দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বুধবার প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ৩০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি আকাশসীমায় ভারতের বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।এর আগে পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এটি বজায় থাকবে। নির্বাচন শেষে একটি নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা দেখছি না।
ভারতও তার আকাশসীমায় পাকিস্তানি বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ইসলামাবাদকে ব্যাংকক ও কুয়ালালামপুরের ফ্লাইটও বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণেও প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লোকসান গুণতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ করিডরের মাঝে পাকিস্তানের অবস্থান। এই বিমান নিষেধাজ্ঞায় প্রতিদিন শত শত বাণিজ্যিক ও কার্গো ফ্লাইটের ওপর প্রভাব পড়ছে। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভ্রমণ সময় ও এয়ারলাইনসগুলোকে বেশি জ্বালানি খরচ করতে হচ্ছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.