বেঁচে থাকতে ঘুষ দেয় উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা, সমীক্ষা জাতিসংঘের
বেঁচে থাকার জন্য ঘুষ দিতে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের। দুর্নীতি এমন লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছে গেছে যে এমনই করতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের নাগরিকরা। উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে এমনই উদ্বেগজনক সমীক্ষা প্রকাশ্যে এনেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা।গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের ওই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তার জেরে হইচই পড়ে গেছে বিশ্বের তাবড় মানবাধিকার সংগঠনের মধ্যে। কিন্তু এই রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। কিম জং উন প্রশাসন এই সমীক্ষাকে রাজনৈতিক উদ্দশ্যে প্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছে।
কিন্তু ওই সমীক্ষা বলছে, উত্তর কোরিয়ার অবস্থা ভয়ঙ্কর। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারাই দেশের সাধারণ নাগরিকদের হুমকি দিচ্ছে ভয় দেখাচ্ছে। গ্রেফতার করার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আর তাই নিজেদের বাঁচাতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা।উত্তর কোরিয়া পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাদের পরমাণু শক্তিকে বৃদ্ধি করা নিয়ে বিতর্ক লেগেই থাকে সবসময়। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারের বিষয়টি নজরেই আসে না। সেই সুযোগে উত্তর কোরিয়ার মানুষ মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখার দাবি, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা সারা বিশ্বে ন্যূনতম অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেই অধিকার থেকে উত্তর কোরিয়ার ১০ মিলিয়ন মানুষ বঞ্চিত। উত্তর কোরিয়ার ২১৪ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারা প্রাণ বাঁচাতে সে দেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে জাতিসংঘের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে উত্তর কোরিয়ায় জীবনযাত্রার মান কীভাবে নেমে গেছে, তার বর্ণনা দেন অনেকে। তাদের দাবি, ঘুষ হিসেবে নগদে টাকা দিতে হয়। না হলে সরকারি কর্মকর্তাকরা সিগারেটও নেন ঘুষ হিসেবে। নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.