২০০০ বছর পর নিরোর প্রাসাদে গোপন কক্ষ আবিষ্কার
রোমান সাম্রাজ্যের পঞ্চম সম্রাট নিরোর প্রাসাদে একটি গোপন কক্ষের সন্ধান পেয়েছে একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ।দুই হাজার বছর আগে অবিস্মরণীয় এই স্থাপত্যকর্ম 'ডোমাস অরিয়া' বা স্বর্ণগৃহ নির্মাণ করেছিলেন সম্রাট নিরো।শুক্রবার এএফপির খবরে বলা হয়, প্রত্নতাত্ত্বিক দলটি খননকাজ করতে করতে এমন একটি কক্ষের সন্ধান পেয়েছেন, যা সেন্ট্রো ও দেবদূত প্যানসহ পৌরাণিক প্রাণীর চিত্রাবলি দ্বারা আচ্ছাদিত।
প্রতিটি টাইলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর গঠন রয়েছে। প্যান্টার থেকে পাখি, সেন্টোরি এবং একটি ষ্ফিংক্সের চিত্রসহ অন্যরা বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শন করছে।প্রত্নতাত্ত্বিকগণ জানান, বর্তমানে কক্ষটির ভল্টটি দৃশ্যমান হয়েছে। এটা সালা ডেলা স্ফিঞ্জ বা স্ফিংক্সের কক্ষ হতে পারে।তবে এর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এটির বেশিরভাগ খনন করা দরকার। এই আবিষ্কারটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে দাবি করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
নিরোর এই প্রাসাদ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একটি বিখ্যাত প্রবাদবাক্য- রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল।জুলিও-ক্লডিয়ান রাজতন্ত্রের সর্বশেষ রোমান সম্রাট ছিলেন নিরো।তবে নিরো সম্ভবত রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে অজনপ্রিয় সম্রাট ছিলেন। হত্যা, রক্তপাত তার প্রিয় বিষয়বস্তু। অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সম্রাট নিরো।
এমনকি ক্ষমতার জন্য নিজের মাকেও হত্যা করেন তিনি। বিষ খাইয়ে মেরেছেন সৎভাই ব্রিটানিকাসকে।এ ছাড়া প্রচলিত আছে- নিরো নাকি তার প্রথম স্ত্রী অকটাভিয়াকেও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী পপ্পেয়াকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় লাথি মেরে হত্যা করেন।
রোমের যে অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হয়, সেটি ঘটেছিল ১৯ জুলাই, ৬৪ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। এটি ছিল রোমের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অগ্নিকাণ্ড। ছয় দিন ধরে আগুনের শিখা জ্বলতে থাকে। রোমের ১৪ জেলার ১০টিই আগুনে পুড়ে যায়।
রোমবাসীর ধারণা, এই অগ্নিকাণ্ড সম্রাট নিরো নিজেই ঘটিয়েছিলেন। কারণ ধ্বংসস্তূপের জায়গায় তিনি তার অবিস্মরণীয় স্থাপত্যকর্ম 'ডোমাস অরিয়া' বা স্বর্ণগৃহ নির্মাণ করেছিলেন। আর এই ডোমাস অরিয়া স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.