বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যে ভিডিও ভাইরাল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও যেখানে দেখা গেছে, হাসপাতালে ডাক্তার এক কিশোরকে মারধর করছেন।ভিডিওটি ইতিমধ্যে ফেসবুক ব্যাবহারকারীরা শেয়ার করে ওই ডাক্তারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই কিশোরের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ওই ডাক্তারের বিচার চাইছেন। জানা গেছে, ভাইরাল সেই ভিডিওর ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেখানের চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ ওই কিশোরকে মেরে আহত করেন। ভুক্তোভোগী ওই কিশোরের নাম মো. জিলানী ও সে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া এলাকার মো. নেছার উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।ভিডিওতে দেখা যায়, ডা. আনোয়ার উল্লাহ হঠাৎই উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের নার্স, কর্মী ও রোগীদের সামনে তেড়ে এসে এক কিশোরের ওপর চড়াও হন। অনবরত কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
এ সময় হাতে স্যালাইন লাগানো এক নারী রোগী ডা. আনোয়ার উল্লাহর মারধর থেকে কিশোরকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু সেই রোগীকে উপেক্ষা করেই কিশোরটিকে মারধর করতেই থাকেন সেই চিকিৎসক। এর সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় তাকে।এরপর ওই নারী রোগীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সেই ডাক্তার।
https://www.facebook.com/nazneen.chowdhury.75457/videos/360244084843900/?t=7
ভিডিওতে শোনা যায় ডাক্তারকে উদ্দেশ্য করে ওই কিশোর বলেছে, ‘অপরাধ করেছেন আপনারা, আর হেইতে কতা কইলে মোগো শাস্তি।’
এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থ মাকে হাসপাতালের বেডে শোয়ানোয় ওই কিশোরকে এভাবে আহত করেন ডা. আনোয়ার উল্লাহ।এমনটাই অভিযোগ মারধরের শিকার কিশোর জিলানী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিলানী জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ মাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সে। কিন্তু দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অচেতন মাকে কোনো চিকিৎসা না দিতে দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে জিলানী। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা মেঝেতে তার মাকে এভাবেই ফেলে রাখেন।
এ সময় মায়ের কোনো সাড়া না পেয়ে ভয় পেয়ে যায় জিলানী। সে নিজেই চিকিৎসকের অনুমতি না নিয়ে হাসপাতালের মেঝে থেকে নারী ওয়ার্ডের একটি বেডে তোলেন সংজ্ঞাহীন মাকে। এ সময় এক নার্স এসে বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে সে। এর কিছুক্ষণ পরই ডা. আনোয়ার উল্লাহ এসে অনুমতি না নিয়ে রোগীকে বেডে তোলায় ওই কিশোরকে মারধর করে। সেই মারধরের দৃশ্য হাসাপাতালের কোনো এক রোগী তার মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, এটাই প্রথম নয় ডা. আনোয়ার উল্লাহর বিরুদ্ধে এ ধরনের এর আগেও এসেছে। এমন ঘটনায় তার শাস্তির দাবি করছি।
বরগুনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে এরকম ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই চিকিৎসক। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
ভাইরাল সেই ভিডিও ও কেন তিনি রোগীর স্বজনকে মারধর করলেন এমন প্রশ্নে ডা. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, নারী ওয়ার্ডে এক কিশোর চিৎকার করছে, নার্সদের কাছে এ কথা শুনে আমি নারী ওয়ার্ডে যাই। এ সময় ওই কিশোরের কথা আমি মোবাইলে রেকর্ড করতে চাইলে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি তাকে মারধর করি।
সূত্র-যুগান্তর
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আনোয়ার উল্লাহ কে?
সে একজন সরকারী চাকরীজীবি। যার বেতন দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের কর ও ভ্যাটের টাকায়। অার সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে তাদের এত অনিহা কেন? সরকারী চাকরী করছে তাই এদের গায়ে চর্বি জমে গেছে। এই অসভ্য লোকদের চাকুরি চ্যুত করার পাশাপাশি চিকিৎসার লাইসেন্সও বাতিল করা উচিৎ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.