সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    চুক্তি মানলে হামাসকে বেতন দেবেন ট্রাম্প


    ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে ট্রাম্প। এ চুক্তিতে হামাস সদস্য ও নেতাদের বেতনভূক্ত করার প্রস্তাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে এতে শর্ত রয়েছে।এ চুক্তি প্রস্তাবনার নাম দেয়া হয়েছে ‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’।বুধবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ‘শতাব্দীর সমঝোতায়’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।

    এতে বলা হয়েছে, একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হবে যেটি ইসরাইল, ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ও হামাসের সঙ্গে। এতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নতুন নাম হবে ‘নতুন ফিলিস্তিন,’ যেটি প্রতিষ্ঠিত হবে জুডিয়া, সামারিয়া (পশ্চিম তীর) এবং গাজা এলাকা নিয়ে। একই সঙ্গে ব্যতিক্রম হবে ইসরাইল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করবে।

    চুক্তি স্বাক্ষর হলে এটি বাস্তবায়ন ধরা হবে। হামাস মিসরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যক্তিগত অস্ত্রসহ তার সমস্ত অস্ত্র জমা দেবে।সরকার গঠনের পর হামাস সদস্যরা এবং তাদের নেতারা সহযোগী দেশেগুলো থেকে সবসময়ের জন্য বেতন পাবেন। গাজা সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানা উন্মুক্ত থাকবে। সেখান দিয়ে মালামাল ও শ্রমিক ইসরাইল এবং মিসর যেতে পারবে। যেটি হবে জুডিয়া এবং সামারিয়ার বর্তমান অবস্থার মতো।

    এক বছরের মধ্যে নতুন ফিলিস্তিনের গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হবে। যেখানে প্রত্যেক ফিলিস্তিনের নাগরিক ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে।নির্বাচন ও সরকার প্রতিষ্ঠার এক বছর পর ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের তিন বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে মুক্তি দেয়া হবে।

    আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন ফিলিস্তিনের জন্য সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দর তৈরি করে দেয়া হবে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।সীমান্তে নতুন ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের নাগরিকরা চলাচল এবং পণ্য পরিবহন করতে পারবে। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে যেমন হয়।

    পশ্চিম তীর ও গাজার সঙ্গে হাইওয়ে সড়ক হবে। এতে চীন ৫০ শতাংশ খরচ দেবে। এবং দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেবে ১০ শতাংশ।

    সূত্র- যুগান্তর 

    হামাস তথা ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযােগ বলে অাপাতত মনে হলেও এটা একটা ঠকবাজী চাল।জাতে মাতাল তালে ঠিক কপােট ট্রাম্প ইরানের সাথে যা করেছে তা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটা শিক্ষা হতে পারে।প্রথমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে ইরানকে পরমাণু সমৃদ্ধ করণ থেকে বিরত রাখা হয় এবং সমৃদ্ধকরণ কৃত উপাদান তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করে তাকে পরমাণু সমৃদ্ধ করণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। যা পুনরায় শুরু করতে ইরানের বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। পরমাণু সমৃদ্ধ করণ প্রযুক্তি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর কপোট ট্রাম্প চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়। এবং পুনরায় আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা পূর্বের থেকেও বেশি কঠাের। 

    তাই  ইরানের প্রতারিত হওয়ার উদাহরণ  হামাস ও ইসলামী জিহাদ তথা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি বিশাল শিক্ষা। প্রথমে ট্রাম্প হামাস ও ইসলামী জিহাদকে নিরস্ত্র করবে।তার পর কিছু লােক দেখানে উন্নয়ন ও বিনিয়ােগ করবে। কিছু অনুদান ও ত্রাণ দিবে। তার কিছু দিন পর অাবার কৃত্তিম ভাবে পশ্চিম তীর বা গাজা থেকে রকেট হামলা করাবে। যার পর ইসরাইলের সেনারা নিরস্ত্র হামাস ও ফিলিস্তিনীদের উপর অাক্রমণ করে হ্ত্যা যজ্ঞ চালাবে ও অারো বেশি জায়গা বা পুরো গাজা দখণ করে নিবে। 

    অথবা গোপনে অস্ত্র বা রকেট নিয়ে গবেষণা বা মজুদের মিথ্যা অজুহাদ দেখিয়ে অামেরিকা চুক্তি থেকে ইসরাইলের বেরিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করবে। যে ভাবে মিথ্যা কথা বলে ইরাকে হামলা করা হয়েছিল। তাই ট্রাম তথা অামেরিকার মিথ্যা অাশ্বাসের ভরসা করে চুক্তিতে যাওয়া হবে হামাস তথা ফিলিস্তিনিদের জন্য অাত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।  যদি যেতেই হয় তবে হামাস তাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য কোন প্রকার অস্ত্র জমা দেবে না এবং ইসরাইল সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জন্য জায়গা ছেড়ে দেবে। 

    এখন দেখার বিষয় ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের দোষর অামেরিকার ফাঁদে পা দেয় কিনা। 

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !