আদালতের এক প্রশ্নে ‘চুপ’ হয়ে যান মিন্নি
বরগুনায় আলোচিত স্বামী রিফাত হত্যার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে বারবার দাবি করেছে স্ত্রী মিন্নি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের দাবির পক্ষে যুক্তিতে অটল থাকতে পারলেন না তিনি।বুধবার (১৭ জুলাই) নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতে মিন্নির বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।তিনি বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় গত ১৪ জুলাই আদালতে মিন্নি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে মিন্নি কথা বলেছেন। যার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। এছাড়া মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে জানানো হয়।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সঙ্গে কথা বলেন। আদালত মিন্নির কাছে জানতে চান, আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কি না?
জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।তখন আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হত্যার আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.