ইরানের বিরুদ্ধে ৬০ দেশের সহযোগিতা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হুমকি মোকাবিলায় পারস্য উপসাগরে সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করে ওয়াশিংটন।
অস্ট্রেলিয়ায় স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, হরমুজ প্রণালিতে নিরাপদ জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে ৬০টি দেশকে সামরিক সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেল বিক্রি বন্ধের চেষ্টা হলে হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
পারস্য উপসাগরে রণতরী মোতায়েনের পর এবার তেহরানের হুমকি মোকাবিলায় নৌ-জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াশিংটন। এ লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়াসহ মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সোমবার সিডনিতে এ বিষয়ে স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরানের হুমকি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
দেশটিকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা আখ্যা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে ওয়াশিংটন। এসময় মিত্র দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ইরান সন্ত্রাস তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানা। ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের ৬টি জাহাজ তারা জব্দ করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হরমুজ প্রণালিতে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬০টির বেশি দেশের কাছ থেকে সামরিক সহযোগিতা চেয়েছি আমরা।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অবরোধকে 'অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ' আখ্যা দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের চেষ্টা চালালে, হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেবে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মোটেও কূটনৈতিক আলোচনায় আগ্রহী নয়। বিশ্বে একক আধিপত্য দেখানোর দিন শেষ হয়ে গেছে। খুব কম দেশই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতি বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে রাজি হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা কারো কাছে বিক্রি করতে চাই না। ইরানের জনগণই নিরাপত্তার মূল শক্তি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই, পারস্য উপসাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রস্তাবিত সামরিক জোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে আবারো অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.