কুরবানি নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভাবনা!
ঈদের বাকি আর ছয় দিন রয়েছে। এই ঈদ নিয়ে নানান শ্রেণীর মানুষদের নানান রকম ভাবনাঃ-
বড় লোক......
স্বামীঃ 'এই ঈদে গরুর জন্য বাজেট করেছি দুই লক্ষ টাকা,একটু বেশি হলেও সমস্যা নেই।'
স্ত্রীঃ 'একলাই দিবা তো?'
স্বামীঃ 'আরে হ্যা, অবশ্যই একা গরু কুরবান দিবো।'
স্ত্রীঃ 'ফ্রিজে তো জায়গা হবে না।আরেকটা ফ্রিজ নিলে ভালো হয়।'
স্বামীঃ 'আচ্ছা কাল ফ্রিজের শো রুমে গিয়ে একটা কিনে আনবো।'
স্ত্রীঃ 'বড় দেখে কিনো।'
.
.
মধ্যবিত্ত.......
স্বামীঃ'রফিকের সাথে কথা বলেছি। ৭ শরীকে গরু কিনবে।'
স্ত্রীঃ 'শরীকে কত করে আসবে?'
স্বামীঃ 'একজনের ভাগে ২০ হাজার টাকার মত আসবে। আমার কাছে আছে মাত্র ১২ হাজার। এই ৩-৪ দিনের মধ্যে বাকি ৮ হাজার ব্যবস্থা করতে হবে।তবে চিন্তা করো না ব্যবস্থা হয়ে যাবে।'
স্ত্রীঃ 'মেয়ে বড় হয়েছে, কিছুদিন পরে বিয়ে দিতে হবে। একটা গরু কোরবান না দিলে লোকে কি বলবে!!'
স্বামীঃ 'একটা গরু কোরবান? ১ শরীকের টাকা ব্যবস্থা করতেই তো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকে বললে আর কি-ই বা করার আছে।ভাগ্যে যা আছে তাই তো হবে।'
.
.
নিম্নমধ্যেবিত্ত.......
স্বামীঃ 'প্রতিবারের মত এইবারো কোরবান দিতে পারবো না।'
স্ত্রীঃ 'সেই কয় বছর আগে কোরবান দিয়েছিলাম, ভুলেও গেছি।'
স্বামীঃ 'হুম,সেই শরীকে ৮ হাজার পড়েছিল। সেটা জোগাড় করতেই তো অবস্থা খারাপ হয়েছিল। এখন তো শরীকে ২০ হাজারের নিচে কথাই নেই।'
স্ত্রীঃ 'মেয়েটার বিয়ে দিয়েছি।বিয়ের পর এই প্রথম কোরবান ঈদ। ওর স্বামীর বাড়ীতে যদি কিছু না দিতে পারি তাহলে মুখ বাচবে না।'
স্বামীঃ 'আচ্ছা দেখি ধার-দেনা করে একটা ছাগল নিতে পারি কিনা।'
স্ত্রীঃ 'মেয়ের স্বামীর বাড়ীর লোকেরা জানে না,আমরা যে কোরবান দিবো না।'
স্বামীঃ 'ঈদের সময় তাহলে গোস্ত কিনতে হবে। টাকার ব্যবস্থা কোথায় থেকে করবো বুঝতে পারছি না।'
স্ত্রীঃ 'আরে গোস্ত কিনা লাগবে না। আমার বড় ভাই বলছে, উনি গোস্ত পাঠাবেন। আমাদের তো কোরবান দেয়ার ক্ষমতা নেই।আল্লাহওয়াস্
তের ভাগের গোস্ত না হয় এবার খেলাম।'
.
.
গরীব.......
স্বামীঃ 'বড় বাড়ীতে ঈদের দিন গরু কাটার কাজ পেয়েছি। ৫০০ টাকা দিবে মজুরি।আর গোস্ত তো দিবেই। আল্লাহওয়াস্তের ভাগ ও পাবো,ওনাদের থেকেও গোস্ত দিবেন।'
স্ত্রীঃ 'আচ্ছা,পোলাডারেও সাথে নিয়ে যেও।'
.
.
বেশি গরীব.......
ছেলেঃ 'মা, এবারের ঈদে গোস্ত আনার জন্য মানুষের বাড়ী বাড়ী আমিও যামু তোমার লগে।'
মাঃ 'তুই যাইয়া কি করবি বাজান।তুই যাইস না। গোস্ত আইনা রাইন্দা তোরে খাওয়ামু।'
ছেলেঃ 'না, মা। আমি তোমার সাথে যামু।তোমার হাত থেকে ব্যাগ লইয়া, তোমারে সাহায্য করুম।'
মাঃ 'আচ্ছা ঠিক আছে যাইস।'
ছেলেঃ 'শুননা, মা। একদিন দেখবা আমি অনেক বড় হমু। তখন আমি আমার টাকা দিয়া কোরবান দিমু।'
বড় লোক......
স্বামীঃ 'এই ঈদে গরুর জন্য বাজেট করেছি দুই লক্ষ টাকা,একটু বেশি হলেও সমস্যা নেই।'
স্ত্রীঃ 'একলাই দিবা তো?'
স্বামীঃ 'আরে হ্যা, অবশ্যই একা গরু কুরবান দিবো।'
স্ত্রীঃ 'ফ্রিজে তো জায়গা হবে না।আরেকটা ফ্রিজ নিলে ভালো হয়।'
স্বামীঃ 'আচ্ছা কাল ফ্রিজের শো রুমে গিয়ে একটা কিনে আনবো।'
স্ত্রীঃ 'বড় দেখে কিনো।'
.
.
মধ্যবিত্ত.......
স্বামীঃ'রফিকের সাথে কথা বলেছি। ৭ শরীকে গরু কিনবে।'
স্ত্রীঃ 'শরীকে কত করে আসবে?'
স্বামীঃ 'একজনের ভাগে ২০ হাজার টাকার মত আসবে। আমার কাছে আছে মাত্র ১২ হাজার। এই ৩-৪ দিনের মধ্যে বাকি ৮ হাজার ব্যবস্থা করতে হবে।তবে চিন্তা করো না ব্যবস্থা হয়ে যাবে।'
স্ত্রীঃ 'মেয়ে বড় হয়েছে, কিছুদিন পরে বিয়ে দিতে হবে। একটা গরু কোরবান না দিলে লোকে কি বলবে!!'
স্বামীঃ 'একটা গরু কোরবান? ১ শরীকের টাকা ব্যবস্থা করতেই তো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকে বললে আর কি-ই বা করার আছে।ভাগ্যে যা আছে তাই তো হবে।'
.
.
নিম্নমধ্যেবিত্ত.......
স্বামীঃ 'প্রতিবারের মত এইবারো কোরবান দিতে পারবো না।'
স্ত্রীঃ 'সেই কয় বছর আগে কোরবান দিয়েছিলাম, ভুলেও গেছি।'
স্বামীঃ 'হুম,সেই শরীকে ৮ হাজার পড়েছিল। সেটা জোগাড় করতেই তো অবস্থা খারাপ হয়েছিল। এখন তো শরীকে ২০ হাজারের নিচে কথাই নেই।'
স্ত্রীঃ 'মেয়েটার বিয়ে দিয়েছি।বিয়ের পর এই প্রথম কোরবান ঈদ। ওর স্বামীর বাড়ীতে যদি কিছু না দিতে পারি তাহলে মুখ বাচবে না।'
স্বামীঃ 'আচ্ছা দেখি ধার-দেনা করে একটা ছাগল নিতে পারি কিনা।'
স্ত্রীঃ 'মেয়ের স্বামীর বাড়ীর লোকেরা জানে না,আমরা যে কোরবান দিবো না।'
স্বামীঃ 'ঈদের সময় তাহলে গোস্ত কিনতে হবে। টাকার ব্যবস্থা কোথায় থেকে করবো বুঝতে পারছি না।'
স্ত্রীঃ 'আরে গোস্ত কিনা লাগবে না। আমার বড় ভাই বলছে, উনি গোস্ত পাঠাবেন। আমাদের তো কোরবান দেয়ার ক্ষমতা নেই।আল্লাহওয়াস্
তের ভাগের গোস্ত না হয় এবার খেলাম।'
.
.
গরীব.......
স্বামীঃ 'বড় বাড়ীতে ঈদের দিন গরু কাটার কাজ পেয়েছি। ৫০০ টাকা দিবে মজুরি।আর গোস্ত তো দিবেই। আল্লাহওয়াস্তের ভাগ ও পাবো,ওনাদের থেকেও গোস্ত দিবেন।'
স্ত্রীঃ 'আচ্ছা,পোলাডারেও সাথে নিয়ে যেও।'
.
.
বেশি গরীব.......
ছেলেঃ 'মা, এবারের ঈদে গোস্ত আনার জন্য মানুষের বাড়ী বাড়ী আমিও যামু তোমার লগে।'
মাঃ 'তুই যাইয়া কি করবি বাজান।তুই যাইস না। গোস্ত আইনা রাইন্দা তোরে খাওয়ামু।'
ছেলেঃ 'না, মা। আমি তোমার সাথে যামু।তোমার হাত থেকে ব্যাগ লইয়া, তোমারে সাহায্য করুম।'
মাঃ 'আচ্ছা ঠিক আছে যাইস।'
ছেলেঃ 'শুননা, মা। একদিন দেখবা আমি অনেক বড় হমু। তখন আমি আমার টাকা দিয়া কোরবান দিমু।'
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.