কাশ্মীরিদের জন্য একাই লড়বে পাকিস্তান: ইমরান খান
বিশ্বের কোনো দেশ পাশে না থাকলেও পাকিস্তান সাধারণ কাশ্মীরিদের জন্য লড়াই করে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে সেখানে কোনো কড়াকড়ি নেই বলে দাবি করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এরমধ্যেই ভারতের একটি বামপন্থি সংগঠন দাবি করেছে, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কাশ্মীরে ১৩ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে।জম্মু কাশ্মীরের একটি বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে আপেল। কিন্তু গাছ থেকে এসব আপেল না পাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাশ্মীরের আপেল চাষিরা। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এমন অভিনব প্রতিবাদ তাদের।
তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি পুরোপুরিই স্বাভাবিক রয়েছে। রোববার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরের কোথাও কড়াকাড়ি নেই।ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, কড়াকড়ি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কাশ্মীরের ১৯৬টি থানা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মাত্র ৯টি থানায় গণজমায়তের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভারতের যেকোন সাংবাদিক এখন কাশ্মীরে যেতে পারেন। ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ভারতের অখণ্ডটা এবং একতাকে আরো শক্তিশালী হয়েছে।
এর মধ্যেই ভারতের একটি বামপন্থি নারী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে, সাধারণ কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সেখান থেকে ১৩ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সংগঠনটির দাবি নিখোঁজদের ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে দাবি আদায়ে সাধারণ কাশ্মীরিদের পাশে থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তিনি দাবি করেন, কাশ্মীরের মানুষদের বন্দি করে রেখেছে ভারত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, নারী, শিশুসহ কাশ্মীরের প্রত্যেকটি মানুষ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফ্যাসিস্ট ও মুসলিমবিদ্বেষী মোদি সরকারের কর্মকাণ্ড আমরা বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় তুলে ধরবো। আমার বিশ্বাস স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে কাশ্মীরের মানুষ জয়ী হবেই।
এদিকে জাতিসংঘে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের পর, কাশ্মীরে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে ভারত। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে- এমনটা প্রমাণে মরিয়া ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রেখেছে ভারতীয় বাহিনী। দুই দেশের এমন পাল্টা-পাল্টি অবস্থানে সাধারণ কাশ্মীদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে সেটাই দেখার বিষয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.