সেই বিয়ের ‘নায়িকা’ হামিদা বেগম কারাগারে!
তিনি চলচ্চিত্রের নায়িকা নন। কিন্তু তার নায়কের কোনো অভাব নেই। ইচ্ছা হলেই জুটিয়ে ফেলেন নায়ক। যদিও সেই নায়ক স্বপ্নের নায়ক নন। এ বিয়ের নায়িকার কাছে ধরা দেন নায়ক।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হামিদা বেগম। একের পর এক বিয়ে করেছেন ১১টি। নায়িকা হয়ে নায়কের সংসারে গেছেন ফাঁদ নিয়ে। দেনমোহর আদায়ের ব্যবসায় বেশ পারদর্শী হামিদা।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হামিদা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।হামিদা বেগম সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার মৃত বালু মিয়ার মেয়ে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই আদালতে হামিদার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউপির দৌলতপাড়ার বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হামিদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছিলেন।
কালীকচ্ছ এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এই নারীর কারণে এখানকার অনেক মানুষ অতিষ্ঠ। প্রতারণার পর মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন হামিদা। এ বয়সে এই নারী একে একে ১১টি বিয়ে করেছেন।
মো. নাজমুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, হামিদা যতদিন জেলে থাকবে ততদিন আমাদের এলাকা পাপমুক্ত থাকবে। আমরা আদালতকে অভিনন্দন জানাই। হামিদা প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ের পর তাদের কাছ থেকে দেনমোহর আদায় করে।
মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম বলেন, হামিদার প্রতারণার শিকার হয়ে আমি আদালতে মামলা করি। সে আমার কাছ থেকে সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে একটি চেক দিয়েছিল। সেই চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন বলেন, প্রতারণার মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন নিতে আসলে আদালত হামিদা বেগম নামে ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে হামিদা কারাগারে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.