সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    আফ্রিকাকে পরমাণু স্বপ্ন দেখাচ্ছেন পুতিন!

    বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ আফ্রিকাকে পরমাণু শক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আধুনিক রাশিয়া গড়ে তোলার স্বপ্নে ২০০৬ সালে প্রথম আফ্রিকার দিকে নজর দেন তিনি।

    বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ আফ্রিকাকে পরমাণু শক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আধুনিক রাশিয়া গড়ে তোলার স্বপ্নে ২০০৬ সালে প্রথম আফ্রিকার দিকে নজর দেন তিনি।এরপর থেকে গ্যাজপ্রম, রোসনেপ্ট ও লুকোলির মতো বড় বড় রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানির কার্যক্রম সেখানে প্রসারিত হচ্ছে।

    তবে ঋণের বোঝায় জর্জরিত আফ্রিকার দেশগুলো পরমাণু জ্বালানি শক্তি ব্যয়বহুল হওয়ায় চুক্তি থেকে সরে আসছে। বুধবার শুরু হওয়া দু’দিনের রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনেও পুতিন পরমাণু শক্তির বিষয়টি আফ্রিকার নেতাদের সামনে তুলে ধরেন।ডয়েচে ভেলে জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ আফ্রিকার প্রায় ৬০ কোটি মানুষ বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। দিনে দিনে জনসংখ্যা বাড়ছে। বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। আফ্রিকার দেশগুলো তা পূরণে মরিয়া হয়ে পড়েছে। পরমাণু শক্তি উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সালে জাম্বিয়া সরকার রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছিল।


    জাম্বিয়ায় পরমাণু শক্তি কেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু এখনও বিনিয়োগ করেনি রাশিয়া। এখনও পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের স্বপ্নে রয়েছে জাম্বিয়া।জাম্বিয়া ছাড়াও পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য মস্কো প্রাথমিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মিসর, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ঘানা, উগান্ডা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে।জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হার্টমুট উইঙ্কলার বলেন, ‘পরমাণু শক্তি কেন্দ্র নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আফ্রিকা সরকারের অর্থ তহবিল। অনেকেই ভারি ঋণের বোঝা বইছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বহু উদাহরণ রয়েছে যেখানে পরমাণু কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ কেবল টানাটানির মধ্য দিয়ে চলেছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয়টি হচ্ছে এর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কোনো সময়সীমা নেই।’ ব্যয়ের খাতা লম্বা হওয়ায় ইতিমধ্যে দেশের দ্বিতীয় পরমাণু শক্তি কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার।

    এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল সাবেক জ্যাকব জুমা সরকার। এতে রাশিয়া বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল। মস্কো ইতিমধ্যে মিসরকে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র নির্মাণের মোট ব্যয়ের (আড়াই হাজার কোটি ডলার) ৮০ শতাংশ সরবরাহ করেছে।রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনের মাধ্যমে আরও কিছু আফ্রিকার দেশ মস্কোর সঙ্গে চুক্তিতে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !