লস অ্যাঞ্জেলসে মাল্টিমিলিয়ন ডলারের পাঁচ বাড়ি দাবানলে ভস্মিভূত!
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে শহরের অন্যতম অভিজাত এলাকা ব্রেন্টউডের অন্তত পাঁচটি মাল্টিমিলিয়ন ডলারের বাড়ি দাবানলে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে ওই এলাকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন হলিউড তারকা তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
‘টার্মিনেটর’ তারকা ও ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, লস অ্যাঞ্জেলসের লেকার্সের বাস্কেটবল তারকা লেবর্ন জেমস, অভিনেতা ক্লার্ক গ্রেইগ ও ‘সন্স অব অ্যানার্কি’র নির্মাতা কার্ট সাটার নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
খবরে বলা হয়, দাবানলের কারণে নগরীর বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ একরব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আগুনের কারণে শহরটির বিখ্যাত গেটি সেন্টার মিউজিয়াম হুমকির মুখে পড়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের পশ্চিম অংশে গেটি সেন্টারের কাছে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে নতুন করে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। সেখান থেকে কয়েকশত কিলোমিটার দূরে সান ফ্রান্সিসকোর উত্তরদিকে বুধবার রাত থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে বড় ও ধ্বংসাত্মক দাবানল ‘কিনকেইড’ পাঁচ দিন ধরে জ্বলছে।
দাবানলের কারণে ওই অঞ্চলের এক লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলসের ব্রেন্টউডসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের লেকার্সের বাস্কেটবল তারকা লেবর্ন জেমস এক টুইটবার্তায় বলেন, ভোররাতে আমি, আমার স্ত্রী ও তিন সন্তান বাড়ি ছেড়ে পালানোর পর একটি আশ্রয়ের খোঁজে কয়েক ঘণ্টা ধরে গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াই।
স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় তিনি লিখেন, “জরুরিভাবে বাড়ি ছেড়ে আসতে হয়েছে আর পরিবার নিয়ে একটি আশ্রয়ের খোঁজে গাড়ি নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছি আমি।”
পরে তিনি একটি আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন জানিয়ে মন্তব্য করেন, “ক্রেজি নাইট ম্যান!” গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেমস ২০১৭ সালে দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয়ে ব্রেন্টউডে আট বেডরুমের একটি বাড়ি কিনেছিলেন।
ব্রেন্টউডের উত্তরাংশে বেশ কয়েকটি মাল্টিমিলিয়ন ডলারের বাড়ির একটি এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টুইটারে অভিনেতা শোয়ার্জনেগার বলেছেন, “যে এলাকাগুলো ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আপনি যদি সেখানে থাকেন তো অপেক্ষা করবেন না, বের হয়ে আসুন।
হেলিকপ্টার ও এয়ারপ্লেন ট্যাঙ্কার থেকে ওই এলাকায় পানি ফেলা হচ্ছে। ঘন কালো ধোঁয়া ও ছাই কোটিপতিদের ওই আবাসিক এলাকার বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.