এতো নির্মমভাবে হত্যা!
কদমগাছের ডালে ঝুলে আছে গলাকাটা ছয় বছরের ছোট্ট শিশু তুহিনের নিথর দেহটি। নিষ্পাপ দেহ থেকে কেটে নেয়া হয়েছে দুটি কান। ছোট্ট শরীর থেকে গোপনাঙ্গও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ঘাতকরা। নির্মমতার এখানেই শেষ নয়—হত্যার পর শিশুটির পেটে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে দুটি ধারালো ছুরি। হত্যা করার সবধরনের পাশবিকতাকে হার মানিয়েছে ঘাতকেরা। যেন নির্মম নির্যাতনে হত্যার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো তারা।
নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন একই এলাকার বছির মিয়ার ছেলে।
তুহিনের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশু তুহিন প্রকৃতির ডাকে উঠলে তার মা বাহিরে নিয়ে যান। এর পর তাকে এনে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন।
রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। এর পর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখেন। এর পর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
দিরাই থানার এসআই তাহের জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও প্যানিস কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ধারালো ছুরি। তবে কে বা কারা, কী কারণে এ শিশুটিকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.