সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    পেঁয়াজের দাম বাড়াতে কারসাজি চলছে!


    আমদানি পর্যায়েই পেঁয়াজের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কারসাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের আমদানিকারকদের তালিকায় রয়েছে মূল ঘাপলা। ৩শ' জনের এ তালিকায় চট্টগ্রামের ৮ জনের নাম থাকলেও এদের কেউ চলতি বছর পেঁয়াজ আমদানি করেননি বলে দাবি করেছেন। অথচ তালিকায় বলা হয়েছে তারা আগষ্ট মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের বিপরীতেও পেঁয়াজ আমদানি দেখানো হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামে পেঁয়াজ আমদানিকারক রয়েছেন ৮ জন। যারা চলতি বছরের আগষ্ট মাস পর্যন্ত ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দেয়া অঙ্গীকারে এসব ব্যবসায়ীর দাবি, চলতি বছর তারা কোনো পেঁয়াজ আমদানি করেননি। শুধু তাই নয়, দু'বছর আগে আমদানি করা ৫০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে এ তালিকায়।

    শওকত এন্টারপ্রাইজ শওকতুল ইসলাম বলেন, ৯/৯/ ১৮ সর্বশেষ আমদানি করেছিলাম। এরপরে আর আমদানি করি নাই।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে তালিকা অনুযায়ী আমদানিকারকদের খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে পেঁয়াজ আমদানির নানা অনিয়ম। তালিকাভূক্ত অধিকাংশ আমদানিকারকের নিজস্ব অফিস নেই। বরং অন্যজনের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করেই তারা আগে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন। একই সাথে দু'বছর আগে অফিস ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম রয়েছে আমদানিকারকের তালিকায়। মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি লাইসেন্স নবায়ন না হলেও তার বিপরীতে পেঁয়াজ আমদানিও দেখানো হয়েছে।

    এ আর ট্রেডার্স মালিক পূজন গুহ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমার নাম কিভাবে তুলল তা তো বলতে পারবো নাহ। হয়তো যে ব্যাংকে লেনদেন করে তারা কুয়েরি করে নাই।তবে তালিকাভূক্ত আমদানিকারকদের লাইসেন্স ব্যবহার করে অন্য পক্ষ পেঁয়াজ আমদানি করছে কি না তার অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হয়ত বা এমন হতে পারে পুরো তালিকাটা আমাদের কাছে পাঠিয়েছে, সেখানে কোন ধরনের ফিল্টার করা হয়নি। এখানে তাদের টিন বা ভ্যাট নাম্বার রয়েছে সেখানে যদি আমরা নাম পাই তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

    বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। তালিকাভূক্ত এসব আমদানিকারক ভারত, চীন, মিশর, মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে চাহিদার ৬০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করে। আর অধিকাংশ আমদানিকাকের অবস্থান হলো সাতক্ষীরার ভোমরা, দিনাজপুরের সোনা মসজিদ এবং হিলি স্থল বন্দরকেন্দ্রীক বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !