ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত সেলিমের যতো কুর্কীতি!
দেশে শতাধিক ক্যাসিনো অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত সেলিম প্রধানের অনলাইন ক্যাসিনো কোম্পানি পি টোয়েন্টি ফোর। এছাড়াও আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। মানি লন্ডারিং-এর দায়ে কারাবন্দি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ বলে স্বীকার করেছেন নিজেই।
সেলিম প্রধান। প্রধান গ্রুপের অধিপতি। অনলাইন জুয়ার আড্ডা পি-টোয়েন্টি ফোর ছাড়াও তার রয়েছে চোখ ধাঁধানো ছয়টি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। এগুলো হল P24 Law Firm Ltd। Japan-Bangladesh Security Printing & Papers Ltd । AU Entertainment। Prodhan House এবং Prodhan Magazine ।
প্রধান গ্রুপের ওয়েব সাইটেই দেয়া আছে পি-টোয়েন্টি ফোর অনলাইন ক্যাসিনো'র আদ্যোপান্ত। ২০১৬ সালে কম্পিউটার গেম দিয়ে হাতেখড়ি। আর ২০১৮ সালে শুরু হয় এই অন্তর্জালের জুয়ার আসর। তারপর থেকে বাংলাদেশের ১৫০টি ক্যাসিনো অপারেটরের সাথে পি-টোয়েন্টি ফোর সম্পৃক্ত বলে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে.কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, এক ব্যক্তি মিস্টার ডু, তাকে অনলাইন ক্যাসিনো খোলার জন্য উপদেশ প্রদান করে। যার প্রেক্ষিতে তিনি ২০১৮ সালে পি-টোয়েন্টি ফোর এবং পি-টোয়েন্টি ওয়ান এই দুইটি গেমিং সাইট তিনি চালু করেন। যেখানে থেকে এই অনলাইন ক্যাসিনো তিনি পরিচালনা করছিল।
২০টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেক, সনদের মত স্পর্শকাতর দলিল ছাপানোর কাজ সেলিম প্রধানের জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি, প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্সের হাতে।
তিনি বলেন, গ্রাহকের যে টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে, সেই টাকাগুলো একত্র হচ্ছে এই গেটওয়ের মাধ্যমে। পরবর্তীতে এই গেটওয়ে থেকে তিনটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আমরা পেয়েছি।
এশিয়া ইউনাইটে এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে সেলিম প্রধানের রয়েছে শোবিজ বাণিজ্য। ওয়েব সাইটে দাবি করা হয়েছে Britain, Mexico, Canada, India, Thailand, Pakistan, Singapore, Korea, China, Taiwan এবং Hong Kong এর সাথে তার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। র্যাবের দাবি এমন সব প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচার করতো সেলিম প্রধান।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। এবং তাকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেয়া হয়েছে, এখানে সে এইগুলো উল্লেখ করেছে। এবং বিভিন্ন সময়ে লন্ডনে তিনি অর্থ পাঠিয়েছে, এমন স্বীকারোক্তি তিনি দিয়েছেন আমাদের কাছে।
মাত্র এক যুগেই কিভাবে এমন সাম্রাজ্য গড়ে তুললেন ৩৮ বছরের এ ব্যক্তি -- সে জবাবই এখন খুঁজছে র্যাব।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.