'এপিআই কাঁচামাল উৎপাদনে গেলে একশো বছরেও মুনাফা সম্ভব নয়'
বর্তমান এপিআই শিল্প পার্ক ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে গেলে আগামী ১০০ বছরেও মুনাফা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিল্প পার্কের প্রকল্প পরিচালক। এ জন্য জমি সংকটকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন তিনি। তবে দীর্ঘ এক যুগেও শেষ না হওয়া প্রকল্পের ব্যাপারে এখন এমন মন্তব্যের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি। ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, দক্ষ কেমিস্ট এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবেই আলোর মুখ দেখছে না শিল্পপার্কটি। এজন্য সরকারি নীতি সহায়তারও আহ্বান জানান তারা।
কথা ছিলো ২০১০ সালেই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে যাবে এপিআই শিল্প পার্ক। তবে নানা জটিলতায় এক দশকেও আলোর মুখ দেখেনি ওষুধ শিল্পের এই বৃহৎ প্রকল্পটি।
এপিআই শিল্প পার্ক নির্মানে এবং কাঁচামাল উৎপাদনে কি সেই চ্যালেঞ্জ। কেনই বা অবকাঠামো নির্মানে ধীরগতি। এসব নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ঢাকা চেম্বারের এই আয়োজন। যেখানে মূল প্রবন্ধে , দক্ষ কেমিস্ট, দক্ষ শ্রম শক্তি আর আধুনিক প্রযুক্তির অভাবকেই বড় করে দেখেছেন গবেষকরা।
তবে এসব পাশ কাটিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ এবং উৎপাদন সম্ভব হলেও, এ খাত থেকে কাঙ্খিত মুনাফা সম্ভব নয় বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তবে এক দশক পরে কেন এমন হতাশা তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।প্রকল্প পরিচালক ড. শেইখ মাকসুদুর রহমান বলেন, এই ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যদি আমি কাজ করি তাহলে একশো বছরেও আমি প্রফিট পাবো না।
সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে ওষুধ কোম্পানির সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান এবং সরকারী নীতি সহায়তার আহ্বান জানান বক্তারা।ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর পরিচালক মো রুহুল আমিন বলেন, দুশো একর জমির ওপর যে এটা করা হলো তারা কি এটা স্টাডি করেনি যে, এটা ফিজিবল হবে কিনা ভায়াবেল হবে কিনা?
বর্তমানে ৯৭ ভাগ ওষুধের কাঁচামালই আমদানি করতে হয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.