সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বসতি বিষয়ে সুর পাল্টালো যুক্তরাষ্ট্র

    ফ-ল-স-ত-ন-ইসর-ইল-র-বসত-ব-ষয়-স-র-প-ল-ট-ল-য-ক-তর-ষ-ট-র-

    সময় সংবাদ
      
      
    আপডেট
    ১৯-১১-২০১৯, ১৭:২১

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বসতি বিষয়ে সুর পাল্টালো যুক্তরাষ্ট্র

    ফ-ল-স-ত-ন-ইসর-ইল-র-বসত-ব-ষয়-স-র-প-ল-ট-ল-য-ক-তর-ষ-ট-র-
    দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতির বিষয়ে অবস্থান পাল্টালো যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এসব বসতি এখন আর অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করবে না তার দেশ। মার্কিন এ ঘোষণাকে তাৎক্ষনিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছে ফিলিস্তিন।

    ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করে চলেছে ইসরাইল। তবে এই দখলদারী স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আন্তর্জাতিক আইনে ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতিকে সরাসরি অবৈধ না বলে বেআইনি হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। এবার সেই অবস্থান থেকেও সরে আসলো দেশটি। ইসলাইলি বসতিগুলোকে এখন থেকে বৈধ বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিতর্কের সব দিক খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্ট রেগ্যানের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।

    যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বেসামরিক বসতির বিষয়ে আমাদের প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। ইসরাইলি স্থাপনা নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে বিবেচনা করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাস্তবতার নিরিখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের এ সঙ্কট সমাধানে আলোচনাকেই সবেচেয়ে গুরুত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

    যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ।ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়াইমন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের সাধারণ মানুষের জন্য দিনটি ঐতিহাসিক। যুক্তরাষ্ট্রের এ স্বীকৃতি আমাদের আরেকটি বড় অর্জন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর গোলান মালভূমি এবং সবশেষ পশ্চিম তীরের বসতিকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

    তবে ফিলিস্তিন প্রশাসন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় হুমকি।ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব ইরাকাত বলেন, মাইক পম্পেও যে বিবৃতি দিয়েছেন তা বেআইনি। আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। যা এ অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতশীলতা নষ্ট করছে।

    ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের অন্যতম বিতর্কিত ইস্যু অবৈধ বসতি নির্মাণ। ১৯৬৭ সালে দখল নেওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে প্রায় ১৪০টি বসতি নির্মাণ করেছে ইসরাইল। এসব বসতিতে ৬ লাখ ইহুদি বসবাস করে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর অবৈধ দখলদারিত্বে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে দেশটি।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !