ইরানের ওপর আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা!
ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির চার ধাতব নির্মাণ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর গত বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।এসব ধাতব পদার্থ সেনাবাহিনী ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথাও ভাবছে মার্কিন সরকার। খবর রয়টার্সের।
পরমাণু ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চাপে রেখেছে ইরানকে।অন্যদিকে ইরানি পরমাণু স্থাপনায় অব্যাহত কাজ চালিয়ে যেতে রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে তেহরানকে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে খবরে বলা হয়েছে।২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখেন তিনি।
নাম প্রকাশে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে মার্কিন ফার্মের বাইরে কোনো কোম্পানির কাজ করায় যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাতে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।এতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো ইরানি পরমাণু স্থাপনায় কাজ করার সুযোগ পাবে।আরেক ভারী পানি গবেষণা চুল্লি ও ফারদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় অস্ত্র বিস্তার রোধমূলক কাজে ছাড় নবায়নের সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক জানালা খোলা রাখার একটি আভাস বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার বিনিময়ে ২০১৫ সালে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল ইরান।কিন্তু গেল বছর একতরফা থেকে চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসারে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করেন।
এ ছাড়া তেহরানের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকেন।চুক্তিটিতে বলা হয়েছিল, স্বাভাবিক কার্যক্রমের অধীন বোমায় পরিণত হতে সক্ষম প্লুটোনিয়াম মজুদে অযোগ্য করে দিতে আরেক চুল্লির নকশা নতুন করে তৈরি করতে হবে।
আর ফারদো স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে দিতে হবে। এ ছাড়া এটিকে পরমাণু, পদার্থ ও প্রযুক্তিকেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চীনা জাতীয় পরমাণু কর্পোরেশন আরেক অস্ত্র বিস্তার রোধমূলক কাজ করছিল। আর রাশিয়ার রোসাটাম সক্রিয় ছিল ফারদোতে।ইরানের বুশাহর পরমাণু শক্তি চুল্লিতে ইউরেনিয়াম জ্বালানির সরবরাহ দিচ্ছিল রোসাটাম।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.