খাঁচাবন্দী জীবনযাপনের ১০০ দিনে কতটা স্বাভাবিক কাশ্মীর!
স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কাশ্মীর অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করার ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে মঙ্গলবার। এই তিনমাসেরও বেশি সময়ে নিষেধাজ্ঞা অনেকটা শিথিল হলেও সেখানকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয় নি।বিবিসি জানিয়েছে, ৫ আগস্ট তারিখের সঙ্গে ১০০ দিন পরের কাশ্মীরের সব থেকে বড় তফাৎটা হল তখন যে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটা ছিল, সেটাই এখন আর নেই। আনুষ্ঠানিক মানচিত্রও বদলে গেছে এই ১০০ দিনে।
মঙ্গলবারই শ্রীনগরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ইন্টারনেট চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।এখন লাদাখ অঞ্চলকে আলাদা করে দিয়ে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের পুরোটাই দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা নেত্রী - এমন কি সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদেরও আটক করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে হাজার হাজার কাশ্মীরীও সেখানকার জেলে এবং উত্তর প্রদেশের জেলে আটক রয়েছেন।
কাশ্মীরিদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন শিল্পও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। পর্যটনের ওপরে নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের কোনও রোজগার নেই।তবে প্রথম দিকে যেরকম কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল রাস্তায় চলাচলের ওপরে, সেসব শিথিল করা হয়েছে। তবে এখনও ১৪৪ ধারায় চারজনের বেশী একসঙ্গে চলাফেরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
দোকানপাট, বাজারঘাট সকালে ঘণ্টা তিনেকের জন্য খোলা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওই তিনঘণ্টার মধ্যেই কিনতে হয়।স্কুল খোলা থাকলেও শুধু শিক্ষক শিক্ষিকারাই যান। ক্লাস টেন এবং টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা থাকায় তাদের পরীক্ষাগুলো হচ্ছে, অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে অভিভাবকদের সামনে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
এই নতুন রুটিনে সেখানকার মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই বিক্ষোভের মাধ্যমে এটা টের পাওয়া যায় যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এখনও কমেনি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.