‘আমাদের শিবিরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে’
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে সরকারি বাহিনীর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক বেসামরিক মানুষ। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে, সিরিয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার শিশু নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে লন্ডনভিত্তিক সংগঠন দ্যা সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস।
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে দফায় দফায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবশেষ অঞ্চলটি নিজেদের দখলে নিতে গেল কয়েকমাস ধরেই অভিযান চালিয়ে আসছে আসাদ বাহিনী।ব্রিটেন ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সরকারি বাহিনীর এ হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই শিশু। হামলায় 'কা' গ্রামের একটি মা ও শিশু হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আমাদের শিবিরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। গেল সাত বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। এটা একটা নিরাপদ অঞ্চল ছিল। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।
এদিকে, এক বিবৃতিতে লন্ডনভিত্তিক সংগঠন 'দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস' দাবি করেছে, ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরীয় যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে আসাদ সরকার ও ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে। এছাড়াও বন্দিশালাগুলোতে আটক রয়েছে প্রায় ৫ হাজার শিশু। আর জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা 'ইউনিসেফ' জানায়, চলতি বছর সিরিয়ায় সংঘাতে নিহত হয়েছে সাড়ে ৬শ'রও বেশি শিশু।
সিরিয়ায় নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফ্রান ইকুইজা বলেন, গত বছর সিরিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক শিশু নিহত হয়েছিল। এবছরও সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বললেও তাদের হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যাই বেশি।
এরমধ্যেই, ইদলিবে আসাদ বাহিনীর হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, প্রদেশটিতে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে হাজারো মানুষ, যাদের কাছে কোন ধরণের মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.