সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের উপায়!

    kolostoral-somoy

    কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা (সেল মেমব্রেনে)-এ পাওয়া যায় এবং যা সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সেল মেমব্রেনের এটি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান. এই উপাদান মেমেব্রেনের মধ্য দিয়ে তরল পদার্থের ভেদ্যতা সচল রাখে এবং তার তারল্য বজায় রাখে.এছাড়াও কলেস্টেরল একটি জরুরি প্রিকার্সার মলিকিউল যা বাইল আসিড, স্টেরয়েড হরমোন এবং স্নেহজাতীয় পদার্থে দ্রাব্য ভিটামিনের জৈব সংশ্লেষ ঘটায়.কলেস্টেরল সবচেয়ে জরুরি স্টেরল যা প্রাণীদেহে সংশ্লেষিত হয়. কিন্তু অনান্য ইউকারইওট যেমন গাছপালা এবং ছত্রাকের দেহে এটি অল্প পরিমাণে সংশ্লেষিত হয়। প্রোক্যারিওট যেমন ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এটি একবারেই দেখা যায় না
    বিশেষ নজর দিতে হবে খাওয়ার পাতে। চর্বি ও তেল জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। মাটন খেলে কিনুন লিন কাট, তাও মাসে এক-দু’বারের বেশি নয়। দু’টুকরোই যথেষ্ট। অতিরিক্ত চর্বিওয়ালা মাছ এড়িয়ে চলুন। কেক, পেস্ট্রি, চিজ, বেশি পরিমাণ ঘি-মাখন, অতিরিক্ত ডিমের কুসুমও এড়িয়ে চলতে হবে। ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়।

    ১. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটর উপর জোর দিন ডায়েটে। ছোলা, শাকসব্জি, ওটস, ব্রাউন রাইস, মল্টিগ্রেন ব্রেডস থাকুক ডায়েটে।

    ২. মদ্যপান বন্ধ করে দিতে পারলে খুবই ভাল। একান্তই না পারলে বিভিন্ন দেশের মেডিক্যাল বোর্ডের নিয়ম মেনে নিন। দিনে ৬০ মিলিলিটারের বেশি একেবারেই নয়। যদিও মদ্যপান ছেড়ে দেওয়ার মতো লাভ এতে পাবেন না।

    ৩. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটর উপর জোর দিন ডায়েটে।

    ৪. মাছের তেলে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই এই তেল শরীরের জন্য ভাল। সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল থাকুক ডায়েটে।

    ৫. শরীরচর্চা আবশ্যিক। জিমে যাওয়ার বা ব্যায়ামের জন্য অনেকটা সময় না পেলেও অন্তত হাঁটাহাঁটিটা বজায় রাখতেই হবে। দিনে পঁয়ত্রিশ মিনিট জোরে টানা হাঁটুন। এ ছাড়া সাইক্লিং, সাঁতার, সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামাও ভাল।

    ৬. রান্নায় কমান তেলের পরিমাণ। ডালডা একেবারেই চলবে না। অলিভ অয়েল, কর্ন অয়েল, সয়াবিন বা সানফ্লাওয়ার অয়েলেই করুন রান্না।

    ৭. প্রতি ১২ সপ্তাহ এক বার করে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করান।

    ৮. ঘুম ও কায়িক শ্রম বাড়ান। এক জায়গায় বসে কাজ হলে মাঝে মাঝেই উঠে হেঁটে আসুন। ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এটিও একটি বিশেষ উপায়।

    ৯. কিছু কিছু বিষয় নিজের হাতে থাকে না। তাই মানসিক দুশ্চিন্তা কমিয়ে মন ভাল রাখে এমন কোনও অভ্যাস রপ্ত করুন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !