বাজপাখি!
বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে, অথচ ৪০ আসতেই ওকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই সময়ে তার শরীরের ৩টি প্রধান অঙ্গ দূর্বল হয়ে পড়ে.....
১) পায়ের নখ
২) ঠোঁট
৩)ডানা
___ফলস্বরূপ শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া ৩টি কাজই বাজপাখির জন্য ধীরে ধীরে অনেক কঠিন হয়ে ওঠে।
তখন তার জন্য ৩টি পথ খোলা থাকে......
১) আত্মহত্যা
২) শকুনের মতো মরা খাওয়া
৩) নিজেকে নতুন করে তৈরি করা
___ বাজপাখি একটি উঁচু পাহাড়ে বাসা বাঁধে আর শুরু করে নতুন করে বাঁচার প্রচেষ্টা। সে প্রথমে পাথরে বাড়ি মেরে মেরে তার ঠোঁট ও নখগুলি ভেঙ্গে ফেলে। তারপর দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকে নতুন নখ ও ঠোঁট গজানোর। নখ ও ঠোঁট নতুন ভাবে গজালে বাজপাখি ডানার সমস্ত পালকগুলি নিজেই ছিঁড়ে ফেলে।
প্রচন্ড কষ্ট, ও দূর্বিসহ যন্ত্রণা সহ্য করে সে থাকে নতুন পালক গজানোর অপেক্ষায়___
____ সব মিলিয়ে ১৫০ দিনের কঠিন পরীক্ষার পর বাজপাখি ফিরে পায় তার নতুন এক জীবন... হয়ে ওঠে আগের চাইতেও দক্ষ, ক্ষিপ্র ও চৌকশ 🙂
নোট : আমাদের জীবনেও এমন অনেক (উত্থান-পতন) আসে কিন্তু তাতে হার মানলে চলবে না।
বয়স কোনো বাঁধাই নয়, বাজপাখির মতোই নব উদ্দ্যমের সাথে আমাদের অতীতকে পেছনে ফেলে, অসমাপ্ত
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে, এক সম্পূর্ণ নতুন লক্ষ্যে, পরিপূর্ণ মনোবল ও অপরাজেয় শক্তি বুকে ধারণ করে পৌঁছতে হবে উজ্জল ভবিষ্যৎতের দৃষ্টান্তমূলক এক নতুন অধ্যায় বির্নিমানের শুভ সূচনালগ্নে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.