স্মরণশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমল!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জিব্রিল আলাইহিস সালাম ওহি নিয়ে আসতেন। তিনি জিব্রিল আলাইহিস সালামের সঙ্গে ওহি পড়ার ও মুখস্ত করার চেষ্টা করতেন। যা তাঁর জন্য অনেক কষ্টকর কাজ ছিল। তখন উপরোক্ত আয়াত নাজিল হয় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কষ্ট লাঘব হয়। তিনি ওহি আয়ত্ব করতে প্রশান্তি লাভ করেন।
আল্লাহ বলেন- فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا - অর্থাৎ সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুন, হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্বাহা : আয়াত ১১৪)
দোয়াঃ
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ- রাব্বি যিদনি ইলমা
অর্থ- হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
পরিশেষে ছোট্ট একটি নসিহত দিয়ে শেষ করতে চাই- ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ওস্তাদ ইমাম ওয়াক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহির নিকট আরজ করলেন, `আমার স্মরণশক্তি কম।` জাওয়াবে ওস্তাদ বললেন, আপনি গুনাহ করা ছেড়ে দিন। কারণ, ইলম হচ্ছে নূর, গুনাহগারের অন্তরে তা দেয়া হয় না। অথচ ইমাম শাফিয়ী ৩০ দিনে পবিত্র কুরআন মাজিদ হিফয করেছিলেন। তারপরও বিনয় প্রকাশ করে বলেছিলেন তাঁর স্মরণশক্তি কম। আর ওস্তাদও ছাত্রকে বড় বুযূর্গ ছাত্র জানা সত্ত্বেও তাঁকে গুনাহ থেকে সতর্ক করেছেন। যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ নসিহত। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। গুনাহ পরিত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.