করোনার কারণ খোঁজে দিশেহারা বিজ্ঞানীরা!
বিশ্বে প্রতিদিনই শত শত প্রাণ নিচ্ছে করোনার মহামারী। সংক্রমণের আতঙ্কে ধুঁকছে কোটি কোটি মানুষ। এদিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস কোথায়, কিভাবে ও কিসের মাধ্যমে ছড়াল তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক ও আলোচনা।কেউ বলছেন, এটা সাপের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। কেউ বলছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে। আবার কারও মতে, সাপ-বাদুড় কোনোটাই নয়, চীনের একটি জীবাণু গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস।
তবে প্রাণী থেকেই এটা মানবদেহে ঢুকেছে- এমন আলোচনাই প্রবল। আর তাই ‘বন্যপ্রাণী করোনার উৎস’- এই পূর্বানুমানের সত্য প্রমাণে মরিয়া বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে এর টিকা আবিষ্কারের জন্যও ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিবিসি। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এই করোনাভাইরাসের মহামারী।
কোনো ওষুধ-প্রতিষেধকই কাজ করছে না। তাই ঘুম নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। কারণ উৎসের খোঁজে তারা এক রকম দিশেহারা। সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়, বাদুড় থেকেই চীনে ছড়িয়েছে ভাইরাস।গবেষকরা উহান শহরের ৭ করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা চালায়। রিপোর্টে বলা হয়, আক্রান্ত শরীরের করোনাভাইরাস প্রায় ৯৬ শতাংশ বাদুড়ের ছড়ানো ভাইরাসের সঙ্গে মিলে যায়। তবে চীনের কিছু সংবাদমাধ্যম মতে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরের কোনো খাবারের বাজারে বাদুড় বিক্রি হয় না।
তাহলে কিভাবে ছড়াল? বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট ওই অঞ্চলের বনের মধ্যে বাদুড়ে খাওয়ার সময় কিছু উচ্ছিষ্ট নিচে মাটিতে পড়ে। বনে লতাপাতার মধ্যে পড়ে থাকা সেই উচ্ছিষ্ট থেকেই খুব সম্ভবত সাপ কিংবা প্যাঙ্গোলিনের মতো পোকামাকড়ভোজী কোনো প্রাণীদেহে প্রথম সংক্রমিত হয় ভাইরাস।আস্তে আস্তে বনজুড়ে অন্য প্রাণীদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ে। বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এসব প্রাণীর কিছু পৌঁছে যায় উহানের সমুদ্রতীরবর্তী ‘সিফুড মার্কেটে’ যেখানে কুকুর, বিড়াল, সাপ থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রাণীই বেচাকেনা হয়। তবে এটা শুধুই অনুমান। তবে এর পেছনে সত্য লুকিয়ে আছে কিনা- সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.