ভ্রান্ত আকিদা
যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিবাহের পূর্বে প্রেম বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস রয়েছে। যেমনঃ
=> মন ভাঙা আর মসজিদ ভাঙা সমান।
=> কারো মনে আঘাত দিলে সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে।
=> প্রেম স্বর্গীয়, প্রেম আসে স্বর্গ থেকে।=> প্রেম পবিত্র।
=> নবীগণও প্রেম করেছেন। ইউসুফ-জোলেখা প্রেম করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)
ইত্যাদি এই ধরণের আরো বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস নামধারী মুসলিম যুবক- যুবতীদের মধ্যে রয়েছে।
.
তারা বিবাহবহির্ভূত প্রেমকে বৈধ করার জন্য এটাকে ধর্মের সাথে সংমিশ্রিত করে আজগুবি এবং ভিত্তিহীন কিছু প্রচারণা চালায়।
যেমনঃ প্রেম স্বর্গীয়, প্রেম আসে স্বর্গ থেকে তাই প্রেম কি করে হারাম হয়?
ইউসুফ-জোলেখা প্রেম করেছেন, তাই ইউসুফ (আঃ) যদি নবী হয়ে প্রেম করতে পারেন তাহলে প্রেম তো অবশ্যই জায়েজ।
“প্রেম কইরাছেন ইউসুফ নবী...
তার প্রেমেতে জুলেখা বিবিগো!” (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)
.
এইটা পরিষ্কার একটা কুফুরী কথা ও আল্লাহর সম্মানিত একজন নবী ইউসুফ (আঃ) এর চরিত্র সম্পর্কে চরম মানহানি ও মিথ্যা অপবাদ।
ইউসুফ (আঃ) যেকোনো ধরণের অবৈধ প্রেম ভালোবাসা থেকে মুক্ত ছিলেন, বরং তিনি তার চরিত্রের কোন কলঙ্ক বহন করার চাইতে কারাগারে জীবন পার করে দেয়া অধিক পছন্দ করেছেন। – এই ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে সুরা ইউসুফে।
প্রেম তাকে উম্মত্ত করেছে, আমরাতো তাকে দেখছি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে। সূরা ইউসুফ আয়াত ৩০।
স্ত্রী লোকটি যখন তাদের ষড়যন্ত্রের কথা শুনল, তখন সে তাদেরকে ডেকে পাঠাল, তাদের প্রত্যেককে একটি করে চাকু দিল
এবং যুবককে বললঃ তাদের সামনে বের হও। অতঃপর তারা যখন তাকে দেখল তখন তারা তার সৌন্দর্যে অভিভূত হল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল।
তারা বললঃ অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্য! এতো মানুষ নয়, এতো এক মহিমান্বিত মালাক/ফেরেশতা! সূরা ইউসুফ আয়াত ৩১।
সে বললঃ এই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ, আমি তার হতে অসৎ কাজ কামনা করেছি; কিন্তু সে নিজকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি, সে যদি তা না করে তাহলে সে কারারুদ্ধ হবেই
এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সূরা ইউসুফ আয়াত ৩২।
এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সূরা ইউসুফ আয়াত ৩২।
ইউসুফ বললঃ হে আমার রাব্ব! এই নারীরা আমাকে যার প্রতি আহবান করছে তা অপেক্ষা কারাগার আমার কাছে অধিক প্রিয়। আপনি যদি আমাকে ওদের ছলনা হতে রক্ষা না করেন তাহলে ওদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৩।
অতঃপর তার রাব্ব তার আহবানে সাড়া দিলেন এবং তাদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন, তিনিতো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৪।
যেকোন একজন নবী বা রাসূল সম্পর্কে কোনো খারাপ বা কটু মন্তব্য করা, তাদেরকে হেয় করা, তাদের মানহানি করা
– বড় ধরণের কুফুরী। এটা এমন কুফুরী যে, এর দারা সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
.
এছাড়া বিবাহ বহির্ভূত যত আজগুবি কথা সমাজে রটিত আছে সবই ভিত্তিহীন। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কর্তব্য। একমাত্র বিবাহোত্তর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার প্রেম-ভালোবাসা বৈধ এবং নেকীর কাজ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.