ভয়াবহ সাইবার হামলা প্রতিহত করে বিপর্যয় এড়াল ইরান
ইরানের সাইবার কার্যক্রমের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপমন্ত্রী হামিদ ফাত্তাহি।দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ভয়াবহ এ হামলা প্রতিহত করে ইরানকে সুরক্ষিত করেছে বলে জানান তিনি।
রোববার তেহরানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভাড়াটে হ্যাকার দিয়ে ইরানের লাখ লাখ সাইবার কেন্দ্রকে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়। তাদের এ হামলা সফল হলে ইরানের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারত। কিন্তু কুচক্রীদের সেই পরিকল্পনা বিফলে গেছে। ইরানের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সাফল্যের সঙ্গে সে হামলা প্রতিহত করেছে।’
গত ৩ জানুয়ারি ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তহত্যার শিকারে পরিণত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে উত্তেজনা চরমে ওঠে।প্রতিশোধে ইরান কি পদক্ষেপ নিতে পারে সে বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একরকম যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে পরমাণু শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বল্প ও দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রের শক্তি সম্পন্ন দেশ সামরিক যুদ্ধে জড়াবে কিনা সে প্রশ্ন চলছিল বিশ্লেষকদের মধ্যে।এমন চিন্তাভাবনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে হামলা চালায় ইরান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের পর অফলাইন ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকারদের দখলে চলে যায়।এদিন আমেরিকার ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি গ্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিকৃত ছবি যুক্ত করা হয়।এতে দেখা যায়, ইসলামী রেভল্যুশনারি গার্ডের মুষ্ঠি ট্রাম্পের মুখে আঘাত করছে। এতে রক্তাক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। নিচে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় মার্কিন আগ্রাসনে নিপীড়িত দেশ ও জনতার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন হ্যাকাররা।
এদিকে ইরান নিজেও হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ অযারি জাহরোমি।সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ইরান তিন কোটি ৩০ লাখ সাইবার হামলা প্রতিহত করেছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.