যে কোনো মুহূর্তে চাকরি হারানোর শঙ্কায় ভারতীয়রা!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে এখনও পর্যন্ত কোনো কর্মীর চাকরি না গেলেও মনে করা হচ্ছে এই মহামারীর প্রকোপ আরও চললে ছাঁটাই হতে পারে বিভিন্ন সংস্থায়।
শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়,করোনাভাইরাসের জেরে হোটেল এবং এয়ারলাইন্স শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে।পর্যটন শিল্পেও খারাপ প্রভাব ফেলছে এই রোগ। যে কোনোমুহূর্তে চাকরি যেতে পারে বল আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, মারণ এই ভাইরাসের আতঙ্কে ভারতে প্রায় স্তব্ধ ব্যবসায়িক লেনদেন, যার প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারেও। বিনিয়োগকারীরাও আর কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে চাইছেন না।
ফলে এই রোগটি কেবল ব্যবসায় ক্ষতি করছে তা নয়, চাকরির ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা।
যে সব কর্মীদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাদের কোয়ারান্টাইন করে রাখার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে আসা সহকর্মীদেরও আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
পাশাপাশি অন্য কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে এসে নয়, বাড়ি বসেই কাজ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসা, ট্যুর এবং ট্র্যাভেল সংস্থা ও বিমান সংস্থাগুলো করোনাভাইরাসের জেরে এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে তিনটি সেক্টরেই মন্দা চলছে, ফলে খুব তাড়াতাড়ি ওই সেক্টরগুলিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস সেক্টের গত ২০ বছর ধরে কাজ করা জয় গানাত্রা তার অধস্তন কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং নিজেও চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন।
মার্চ ও এপ্রিল মাসে তার ইনক্রিমেন্টের কথা থাকলেও এখন চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি।
এছাড়া হোটেল এবং এয়ারলাইন্স শিল্পের ব্যবসাও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমেছে।
ব্লু স্টার এয়ার ট্র্যাভেলসের প্রধান মাধব ওঝা জানিয়েছেন, তার সংস্থায় এখনও কোনো ছাঁটাই হয়নি। তবে বেতন ছাড়া বা কম বেতনে কাজ করানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটির ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ সালে ৪ কোটিরও বেশি লোক পর্যটন এবং আতিথেয়তা খাতে নিযুক্ত ছিলেন, যা দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮ শতাংশ। এখন এত বড় অঞ্চলে মন্দা দীর্ঘায়িত হলে বেকারত্বের ঝুঁকি কতটা বাড়তে পারে তা বোঝা মুশকিল নয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.