বিশ্বে করোনায় মৃত্যু দেড় লাখ ছাড়াল, আক্রান্ত ২২ লাখ!
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মারা গেছেন দেড় লাখেরও বেশি। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।প্রাদুর্ভাবের চার মাস পর গত ১০ এপ্রিল কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বেজুড়ে মৃতের সংখ্যা লাখ ছুঁয়েছিল। তার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সেই সংখ্যা এখন এখ লাখ ৫৪ হাজার ২১৫ জন।
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৫ জন।মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; দেশটিতে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছেন এই রোগে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালির চেয়ে এই সংখ্যা ১০ হাজার বেশি।যুক্তরাষ্ট্রে গত এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। ইতালিতে ও স্পেনে এই এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার করে।
এদিকে করোনাভাইরাসে তিন লাখ আফ্রিকান মারা যেতে পারেন। এছাড়া দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্রের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন বলে ঝুঁকি রয়েছে। জাতিসংঘের আফ্রিকান অর্থনৈতিক কমিশন ইউএনসিএ শুক্রবার এমন দাবি করেছে।-খবর রয়টার্সের
মহাদেশটির জন্য সুরক্ষা অর্থ হিসেবে ১০ হাজার কোটি ডলার দাবি করেছে এই সংস্থাটি। আফ্রিকান ৫৪টি দেশে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের কিছুটা কম সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।বিশ্বজুড়ে যেখানে ২০ লাখ মানবদেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে, সেখানে এই সংখ্যাটি একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এক কোটি আফ্রিকান করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।ইউএনইসিএ’র প্রতিবেদন বলছে, আমাদের যৌথ সমৃদ্ধি গঠন ও সুরক্ষার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার কোটি ডলার দরকার। স্বাস্থ্য ও সামাজিক রক্ষাকবচ হিসেবে এসব সম্পদ ব্যয় করা হবে।
আফ্রিকার অর্থমন্ত্রীরা যে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে, তাতেও সায় দিয়েছে ইউএনইসিএ। এতে বিদেশি ঋণসেবা স্থগিতের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।মহাদেশটির সরকারগুলোর নেয়া প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ মাত্রার ওপর ভিত্তি করে চারটি দৃশ্যকল্পের মডেল দাঁড় করিয়েছে সংস্থাটি।
কাজেই সব ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেসব অভাব রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১২০ কোটি আফ্রিকান নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন, যাদের মধ্যে ৩৩ লাখ চলতি বছরে মারা যেতে পারেন।আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে সামাজিক দূরত্ব ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রমণ নির্দেশনাসহ লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.