করোনার ৩০ রূপ একটি ২৭০ গুণ শক্তিশালী!
করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে এটি নিয়ে বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলছে। পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। এবার হতাশাব্যঞ্জক তথ্য দিলেন চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি লেনজুয়ান। তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাসের অন্তত ৩০টি রূপ রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রূপে এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আক্রমণাÍক প্রজাতি ২৭০ গুণ শক্তিশালী। তাই এটি রোগীর আক্রান্ত কোষকে অতিদ্রুত মেরে ফেলতে পারে।
এদিকে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রদেশের রাজধানী হারবিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরটি লকডাউন করা হয়েছে। ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লেনজুয়ান জানান, কারোনাভাইরাস ৩০টি জিনগত রূপে পরিবর্তিত হয়েছে বলে তারা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ছড়িয়ে পড়ায় চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
চীনের হ্যাংঝোউ নগরীতে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১২শ’ মানুষ। বেশকিছু করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে যে করোনাভাইরাসগুলো ধরা পড়েছে তার মধ্যে কমপক্ষে ১৯টি প্রজাতি নতুন। এ ভাইরাসগুলো কখনও কখনও কার্যকারিতার দিক থেকেও ভিন্ন রূপ নিয়েছে বলে লেনজুয়ানের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা জানিয়েছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মানবদেহের কোষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারে। এমনকি কোষগুলো একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন রূপের ভাইরাস বহন করতে পারে।
চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে করোনার হানা : গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এরপর বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এ মহামারী। যে দেশ থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে সেই চীনকে যেন কিছুতেই ছেড়ে যাচ্ছে না। এবার চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হারবিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরটি লকডাউন করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১০ দিনে সেখানে ৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চীন-রাশিয়ার সীমান্তের সব স্থলবন্দর বন্ধ করে দেয় চীন। এরপরও সংক্রমণ বাড়ছে। হারবিনে প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস। হেইলংজিয়াংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে। শহরের কর্তৃপক্ষ বলছে, বাইরে থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে নতুন করে সেখানে করোনার সংক্রমণ হয়েছে।
সরকারি এক আদেশে বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকায় ঢুকতে বা বের হতে হলে স্থানীয়দের তাদের স্মার্টফোনে থাকা একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। যদি সেটি সবুজ রঙের হয় তাহলে ওই ব্যক্তি করোনামুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.