আইইডিসিআরের ৮ জন করোনা আক্রান্ত, কোয়ারেন্টিনে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা !
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআরের)৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে মহাখালীর সংক্রমকব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।আক্রান্তদের মধ্যে একজন স্টাফ বৃহস্পতিবার টেলিফোনে যুগান্তরকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে আইডিসিআরের দুজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তারা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর হোসেন। এই দুজনের মধ্যে ডা. ফ্লোরার কভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। তার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। প্রথম পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত না হলেও তিনি স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এদিকে করোনায় আক্রান্ত আইইডিসিআরের ৮ স্টাফের সবাই কভিড-১৯ টেস্ট কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের করোনা পজেটিভ আসার পর আইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরারও কভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। তার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীরও স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তারও করোনা টেস্ট করা হয়েছে।এ কারণে এই দুজনকে বেশ কয়েকদিন ধরে আইইডিসিআরের ব্রিফিংয়ে দেখা যাচ্ছে না। আগে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আসতেন ফ্লোরা ও আলমগীর ৮ স্টাফের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে একদিনে করোনায় সরোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে দেশে।করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট ৬০ জনের মৃত্যু হলো কোভিড-১৯ রোগে। বৃহস্পতিবার বিকালে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে ব্রিফ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দুই হাজার ১৩৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ১৯টি। আর রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। সব মিলিয়ে রোগী শনাক্ত ১ হাজার ৫৭২ জন। নমুনা সংগ্রহের হার গতকালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। আর নমুনা পরীক্ষার হার ১৬ শতাংশ বেশি বলে তিনি জানান। মৃতদের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বয়স ৭০-৮০ একজনের, ৬১-৭০ বছর পাঁচজন, ৫১-৬০ বছর তিনজন ও ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন। ১০ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন। বাকিরা নারী। তাদের মধ্যে ঢাকার ৬ জন এবং ঢাকার বাইরের চার জন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। আর মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৭ হাজার ছুঁই ছুঁই।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.