সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    লুডু খেলতে খেলতে কাশি, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুকে গুলি!

    করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে সময় কাটাতে চার বন্ধু মিলে লুডু খেলছিলেন। দান দিতে দিতে আকস্মিক এক  বন্ধু কাশি দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করেন আরেক বন্ধু।

    করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে সময় কাটাতে চার বন্ধু মিলে লুডু খেলছিলেন। দান দিতে দিতে আকস্মিক এক বন্ধু কাশি দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করেন আরেক বন্ধু। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে গুলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের নয়ডার জারচার গ্রাম দয়নাগরে। আহত ব্যক্তির আঘাত গুরুতর, তিনি গ্রেটার নয়ডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ কুমার সিং বলেন, দয়ানগরে জয়, বীরু ওরফে গুল্লু, প্রবেশ আর প্রশান্ত- এই চার বন্ধু মন্দিরের কাছে বসে লুডো খেলছিলেন।

    তখন হঠাৎ করে কাশি দেন প্রশান্ত। এতে গুল্লু এবং অন্য বন্ধুরা তাকে বলে যে, কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন প্রশান্ত। এর পরেই সকলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রচণ্ড রেগে গিয়ে গুল্লু প্রশান্তের দিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশও এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। করোনাভাইরাসে ভারতে ৪১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায়, সরকারি নথি অনুসারে, ৩৭ জন মারা গেছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ১২ হাজার ৩৮০ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    বুধবার ভাইরাস বিস্তারের ১৭০টি হটস্পট জেলার কথা প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। যার মধ্যে অধিকাংশ বড় শহরগুলোই রয়েছে। এদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের। বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ভাইরাসটি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ার মধ্যেই কোনো কোনো দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। আবার অনেক দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সত্যিকারের বিস্তার ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষারও অভাব ছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে। সংক্রমণের আনুষ্ঠানিক যে হিসাব প্রকাশ করা হচ্ছে, সত্যিকারের সংখ্যা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু সংক্রমণে লক্ষণ প্রকাশিত হয়নি, এমন অনেকেই রয়ে গেছেন পরীক্ষার আড়ালে।

    ফলে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখের অনেক বেশিই হবেন। এ্ই মহামারী সামলাতে বেসামাল বিশ্ববাসীর জন্য এই দুটি হতাশার তথ্যের সঙ্গে ইতিবাচক একটি তথ্যও এসেছে। তা হল আক্রান্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মানবদেহে ধরা পড়ে। খুব দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। নোভেল ভাইরাসের নামকরণের পর এতে সৃষ্ট রোগের নাম দেয়া হয় কোভিড-১৯।

    চীনে প্রথম মৃত্যুর দুদিন পর গত ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর জানা গেল রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে গেছে এই ভাইরাস।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !