এবার জার্মানিতে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে সফল প্রয়োগ!
জার্মানিতে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনটির নাম- বিএনটি১৬২। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি পিজফারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেক এ ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করেছে।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জার্মানির ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন লাভের পর গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার ভ্যাকসিনটির নির্মাতা বায়োএনটেক জানিয়েছে, মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে তারা। পরবর্তী ধাপে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী আরও ২০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এটি প্রয়োগ করা হবে। সে বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। সেই ধাপ শেষ হলে করোনাঝুঁকিতে থাকা মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির ওপর প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, বিএনটি১৬২-এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চারটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। সবগুলোরই ‘ফেজ ওয়ান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ অর্থাৎ প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে যুক্তরাজ্য।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন আগে অন্য কোনো প্রাণীর ওপর প্রয়োগের পর তা নিয়ে গবেষণা চালালেও করোনার বেলায় সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া ভাইরাসের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরিতে কোনো বাড়তি সময় নিতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে জিএসকে এবং ফ্রান্সের সানোফি যৌথভাবে করোনার আরও একটি সম্ভ্যাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া ইতালির রেইথেরা, জার্মানির লিউকোকেয়ার ও বেলজিয়ামের ইউনিভার্সেলস কোম্পানিও ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ শুরু করেছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.