সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    করোনা ছড়ানোর হার কমেছে ভারতে!

    image-297683-1586665621

    দেশ জোড়া লকডাউনের সুফল দেখা যাচ্ছে ভারতে। আগে যেখানে তিন দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, লকডাউনের পর দেখা যাচ্ছে তা ছয় দিনেরও একটু বেশি সময় লাগছে। দৈনিক রোগী বৃদ্ধির হার কমেছে ৪০ শতাংশ। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদাধিকারী কর্মকর্তা লাভ আগরওয়াল আজ শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, সরকারের কাছে দেশের ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের গত ৭ দিনের যেসব তথ্য রয়েছে তার ভিত্তিতেই দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের ফলে সংক্রমণ কম ছড়াচ্ছে।

    রোগ ছড়ানো রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রেই শুধু সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে যে তা নয়, রোগী মৃত্যুর হারও কমানো গেছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্তা বলেন, দুই ক্ষেত্রেই পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে জানুয়ারিতে। মার্চে তা চড়চড় করে বেড়ে যায়। ফলে ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে ভারত সরকার। পরে তা বাড়ানো হয় ৩ মে পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দেশকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেসব জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে সেগুলো ‘লাল জোন’।

    যেখানে সংক্রমণ রোখা গেছে, সেগুলো ‘কমলা জোন’। দেশের যে সব জেলা করোনামুক্ত, সেগুলো ‘সবুজ জোন’। ২০ এপ্রিল থেকে সবুজ জোনের জেলাগুলোয় প্রধানত গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা কম হওয়ার দরুন একটা সমালোচনা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারদের শুরু থেকেই শুনতে হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও গত বৃহস্পতিবার বলেন, পরীক্ষার হার আরও বাড়ানো দরকার। যত বেশি পরীক্ষা হবে রোগ ছড়াবে তত কম। সরকার থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হবে। তারপর তা কমতে থাকবে। সংক্রমণ রুখতে তাই এখন থেকে দেশের সর্বত্র সন্দেহজনক প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা হবে। যাঁদের জ্বর বা সর্দিকাশির লক্ষণ রয়েছে বা যাঁদের শ্বাসকষ্ট আছে তাঁদের পরীক্ষা তো হবেই, যাঁদের সন্দেহ করে একঘরে করে রাখা হয়েছে তাঁদেরও পরীক্ষা করা হবে। সরকারিভাবে বলা হয়, যেসব রাজ্য শুরুতেই লকডাউন করেছে সেখানে সংক্রমণ খুবই নিয়ন্ত্রণে। যেমন, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও বিহার। গত দুদিন ধরে ভারতে নতুন সংক্রমণের হার কিছুটা কম। বৃহস্পতিবার সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৮০০-র বেশি, শুক্রবার ১০০৭। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৩৭।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !