করোনা আতঙ্ক: মুক্তি পেয়েও ইসরাইল ছাড়ছে না ফিলিস্তিনি বন্দিরা !
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলেও।ভূ-মধ্য সাগর ঘেঁষা ক্ষুদ্র দেশটিতে ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় ৯০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে মৃত্যু ২০০ ছুঁই ছুঁই। দেশটির কারাগারে ৫০০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল সরকার।কিন্তু তারা নিজ দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে মুক্তি পেয়েও ইসরাইল ছাড়ছেন না। কিছুদিন আগে ইসরাইলের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় ফিলিস্তিনি আমির নাজিকে বলা হয়েছিল, তিনি যেন পরিবারের কারোর সঙ্গে কোলাকুলি না করেন। কিন্তু আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনি, জড়িয়ে ধরলেন মাকে!
পরক্ষণেই মাস্ক, প্লাস্টিক স্যুট, গ্লাভস পরিহিত ১৮ বছর বয়সী নাজিকে সরিয়ে নিলেন তার বাবা। এরপর পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর তাকে পার্শ্ববর্তী এক হোটেলে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। সেখানে রয়েছেন ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া অন্যান্য বন্দিরাও।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, কারাগারগুলোতেও যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই কারাগারগুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে প্রতিদিন। বন্ধ করা হয়েছে বন্দীদের পরিবার পরিজন ও আইনজীবীদের যাতায়াত।
কিন্তু ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপেও থামছে না বন্দিদের আইনজীবীদের উদ্বেগ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা কয়েদিদের মুক্তি দিতে ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। ফিলিস্তিন বলছে মুক্তিপ্রাপ্ত এক বন্দীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের অন্যরাও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত কি-না তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বিচার বিভাগ।
যাদের বয়স ৬৫ বা এর বেশি তাদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসও। সংগঠনটির জেরুজালেম মিশনের প্রধান ডেভিড কেসনে বলেন, আমরা চাই তাদের যত সম্ভব মুক্তি দেয়া হোক। তা না হলে ঝুঁকি থেকে তাদের সরিয়ে নেয়া হোক। কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রিজন সার্ভিস।
বন্দীরা করোনার ঝুঁকিতে আছে বলে ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি প্রিজন সার্ভিস। তারা জানিয়েছে, প্রত্যেক বন্দীকে দুটি করে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। নতুন বন্দীকে নিয়মানুযায়ী ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.