কানাডার দুই প্রদেশে লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা!
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত লকডাউন কিছুটা শিথিল করার পরিকল্পনা করছে কানাডা। দেশটির দুটি প্রদেশে সীমিত পরিসরে মানুষ বাইরে বের হতে পারবেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়া। শুক্রবার সকালে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. বনি হেনরি এ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, মে মাস থেকে হাসপাতালগুলোয় সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি অধিক লোকসমাগমের প্রয়োজন হয় না এমন কিছু অর্থনৈতিক স্থাপনা খুলে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে নতুন সংক্রমণের হার কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তার ওপর। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে সিদ্ধান্ত বাতিল হতে পারে। তবে স্কুল খোলার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ড. হেনরি বলেন, আমরা এখনও সব কিছু খুলে দেয়ার মতো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৌঁছাইনি। নাগরিকদের আরও ধৈর্য ধরতে আহ্বান করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সে ধাপ মোকাবেলায় নাগরিকদের সচেতন থাকতে হবে। এ জন্য ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রভিন্সিয়াল সরকার ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এদিকে দোকানপাট তথা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার পরিকল্পনা করেছে কানাডার সাসকাচুয়ান প্রভিন্স। গত সপ্তাহে সাসকাচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কটমো সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার এখন নিম্নগামী। এটি অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহ নাগাদ প্রভিন্সটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারেন।
তিনি বলেন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেটি হবে ধীরে ধীরে ও পর্যায়ক্রমে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৫৬। মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১১ হাজার ৮৪৩ জন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.