সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের করোনার টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ!



    গোটা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের তৈরি একটি টিকা বা ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।  ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে দুই জনের শরীরে প্রথমবারের মতো এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলো।ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই ভ্যাকসিন সফল হলে বড় ধরনের এক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে গোটা বিশ্ব। খবর বিবিসির।

    মোট আটশ' জন মানুষ এই পরীক্ষামূলক কাজে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দুজনের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এই আটশ জনের মধ্যে অর্ধেককে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আর বাকি অর্ধেককে করোনাভাইরাসের নয়, ম্যানিনজাইটিস প্রতিরোধক দেয়া হবে।

    তবে স্বেচ্ছায় অংশ নেয়া এই কর্মীরা কেউই জানবেন না কোন ভ্যাকসিন তাদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে, জানবেন শুধু ডাক্তাররা। যেখানে দুই গ্রুপের মানুষের মধ্যে আগামী কয়েকমাসে তুলনামূলক বিচার করে ভ্যাকসিনের কাজ হচ্ছে কি-না তা নির্ধারণ করবেন গবেষকরা। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নেয়াদের মধ্যে একজন হলেন এলিসা গ্রানাটো।

    তিনি বলেন, আমি একজন বিজ্ঞানী, তাই যেভাবেই পারি গবেষকদের সাহায্য করতে চাই।’ অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় সব ধরনের সহায়তা করেছে ব্রিটিশ সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রিটিশ সরকার বিজ্ঞানীদেরকে অতিরিক্ত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে। সিএইচএডিওএক্স-১ এনকভ-১৯ নামের এই ভ্যাকসিনটি বৃহস্পতিবার সফলভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে মানবদেহে প্রয়োগের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন।

    এ জন্য ভ্যাকসিনটির কয়েক লাখ ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা। করোনাভাইরাস মুক্তকরণে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের তৈরি এটিই প্রথম ভ্যাকসিন যা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার লন্ডনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ঘোষণা দিয়েছিলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথপ্রচেষ্টায় তৈরি সিএইচএডিওএক্স১ এনকোভ-১৯ ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে।

    তিনি জানান, এতে সুফল আসলে ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য ব্রিটিশ সরকার বিজ্ঞানীদেরকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের ২০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ইমপেরিয়াল কলেজকে ২২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে।  উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সারা বিশ্বের ভাইরাস নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি গবেষক দল কাজ করছেন।

    মানবদেহে প্রথমবারের মতো করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিজ্ঞানীরা। ওই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এখনও গবেষণা চলমান রয়েছে। প্রসঙ্গত, উৎপত্তির পর থেকে গোটা বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে মহামারী করোনাভাইরাস। কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না এর সংক্রমণে। চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাস আড়াই মাসেই বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে।

    আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার জন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !