ভয়ে কাঁপছে জাপানের চিকিৎসক-নার্স!

করোনা ধাক্কায় একেবারে বিপর্যস্ত জাপান। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রবল হুমকির মুখে পড়েছে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা। মহামারীর প্রকোপে দেশটির জরুরি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিন শত শত আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু সেবা দিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। ৮০টি হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগী- এমন ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ ও ভয়াবহ হতে পারে। প্রতিদিনই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ভয়ে কাঁপছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। বাজে পরিস্থিতির জন্য দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মোটেও প্রস্তুত নয় বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। ফেব্রুয়ারির শুরু দিকে প্রথমে প্রতিবেশী দেশ চীন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় জাপানে। প্রথমদিকে কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও ফের চরম আকার নিয়েছে দেশটিতে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে সারা দেশে।
প্রথমে সাতটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা করা হলেও চলতি সপ্তাহে তা দেশব্যাপী করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশের প্রায় সব হাসপাতালেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাসের দাপটে বিপর্যস্ত জাপানে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। রোগীরা হাসপাতালে এসেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সম্প্রতি টোকিওর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীকে নিয়ে ৮০টি হাসপাতাল ঘুরেছে অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু কোথও চিকিৎসা মেলেনি। সব হাসপাতালই ফিরিয়ে দিয়েছে জায়গা নেই বলে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, তাদের পরিষেবা দেয়ার জন্য অন্য কোনো রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে না। ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা বাইরে থেকে কোনো আঘাত লাগা রোগীকে। মার্চ মাস থেকেই দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে এমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা। সামনের সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতি আরও বাজে আকার ধারণ করতে পারে।
দেশটির নার্সদের এক মুখপাত্র বলেছেন, বাজে পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত নয় দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য সর্বত্র চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত মাস্ক, পোশাক এবং ফেস শিল্ড নেই। একাধিক হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসক ও নার্সদের আইসোলেশনে যেতে হচ্ছে।
এদিকে ৩ লাখ নয়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ লাখ ইয়েন (৯৩০ ডলার) দেবে জাপান সরকার। প্রথমে তিন লাখ ইয়েন দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলানো হয়। নগদ অর্থ প্রদানে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও পরে কমিয়ে দেয়ার কারণে দেশবাসীর ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আসাহি শিম্বুন জানায়, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা বাড়ানোর ঘোষণা দেন আবে। এরপরই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৩ লাখ ইয়েন (২৭৯০) ডলার দেয়ার ঘোষণাও আসে। কিন্তু পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
বলেন, পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এর পুরো দায় নিচ্ছি। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করছি। পদ্ধতিটি জটিল এবং অর্থের অঙ্কটাও কম হওয়ায় পরিকল্পাটি বেশ সমালোচিত হয়। প্রত্যেক নাগরিককে ১ লাখ ইয়েন দিতে জাপান সরকারকে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করতে হবে। আকালের দিনেও ৬ কোটি পাউন্ডের লটারি : করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। কোনো মতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজছে মানুষ।
ঠিক সেই সময়েই ইউরো মিলিয়নস জ্যাকপট লটারিতে এক ব্রিটিশ নাগরিক দাবি করেছেন তিনি ৫ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের এই লটারি জিতেছেন। মার্চে অনুষ্ঠিত এ লটারির ড্রতে আরেকজন বিজয়ী দাবি করেছেন ৫ কোটি ৭৮ লাখ পাউন্ড। ন্যাশনাল লটারি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, সৌভাগ্যবান বিজয়ী সব কাটছাঁট দিয়ে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮৭ .৫০ পাউন্ড ঘরে তুলতে পারবেন। তবে তার আগে বিজয়ীর প্রথম মূল পাঁচটি নাম্বার ও লাকি স্টার ম্যাচ করতে হবে।
এবারের ড্রতে এই প্রধান নাম্বারগুলো হলো ১৬, ২৮, ৩২, ৩৭ ও ৪৫। বিজয়ী ইউরো মিলিয়ন লাকি স্টার নাম্বার হলো ০১ এবং ১১। ন্যাশনাল লটারির সিনিয়র উইনার-বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যান্ডি কার্টার বলেন, বিজয়ীদের জন্য গ্রেট নিউজ এবং তিনি সবাইকে অনলাইনে নাম্বার মিলিয়ে দেখার আহ্বান জানান। এই নাম্বার সব সময়ই ওয়েবসাইটে দেয়া থাকে।
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.