খাশোগির খুনিদের ক্ষমার অধিকার কারো নেই: বাগদত্তা!
ওয়াশিংটন টাইমসের সাংবাদিক জামাল খাশোগির খুনিদের ক্ষমা করে দিয়েছে তার সন্তানরা।এই ঘোষণার পরপরই সৌদি সাংবাদিকের বাগদত্তা হাতিস চেংগিস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেছেন, এমন ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার কারো নেই। খবর বিবিসির।
শুক্রবার হাতিস চেংগিজ টুইটারে লেখেন, জামাল খাশোগি এখন একজন ‘আন্তর্জাতিক প্রতীক, তিনি আমাদের সবার ঊর্ধ্বে, ভালোবাসা এবং সম্মানের পাত্র তিনি। সুতরাং তার হত্যাকারীদের এভাবে ক্ষমা করে দেয়া যায় না।’
চেংগিজ আরও লেখেন, তাকে বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়ে জামাল খাশোগি তার দেশের কনস্যুলেটের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাকে লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে লোক যায়।
তিনি বলেন, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের হোতাদের ক্ষমা করে দেয়ার অধিকার কারো নেই, এবং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ করবেন না।
হাতিস লেখেন, এ ধরণের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য কখনই কেউ ক্ষমা পেতে পারে না। সৌদি সরকারের সমালোচক দেশটির সাংবাদিক খাশোগিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়।
এক সময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত সৌদির সাংবাদিক জামাল খাসোগি পরবর্তীতে দেশটির রাজতন্ত্র ও শাসকদের তীব্র সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হন।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর তাকে হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রিয়াদ থেকে আসা ১৫ গুপ্তচর ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখককে হত্যার পর তার লাশ গুমে জড়িত ছিল বলে সেসময় আঙ্কারা দাবি করেছিল।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জামাল খাশোগি।
শুরুতে তাকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি। তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসে’র মুখে ১৯ অক্টোবর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
পরে তুরস্কের তদন্তে বেরিয়ে আসে মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রতিবেদনেও একই বিষয়টি উঠে আসে। জাতিসংঘের বিশেষ দূতের তদন্তেও মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হয়।
যদিও ঘটনার সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে বারবার দাবি করে রিয়াদ।
আঙ্কারা জানায়, রিয়াদ থেকে ১৫ জন গোপন বাহিনীর সদস্য তুরস্কে গিয়ে খাশোগিকে হত্যা করে। চাপে প[ড়ে পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১১ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর।
শুক্রবার খাশোগির খুনিদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেন তার ছেলেরা। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় খাশোগির ছেলেদের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমরা শহীদ জামাল খাসোগির ছেলেরা ঘোষণা দিচ্ছি, যারা আমাদের বাবাকে হত্যা করেছেন আমরা তাদের ক্ষমা করে দিলাম'।
খাশোগির বড় ছেলে সালাহ খাসোগি টুইটারে ঘোষণা দেন, আমরা আমাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা দিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে নিলাম।
তবে সৌদি আরবে বসবাসকারী সালাহর কাছ থেকে আইনিভাবে এই ঘোষণা তাত্ক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.