ছোট ভাই আক্রান্ত করোনায়, হাসপাতালে ভর্তি বড় ভাই!
ভারতে করোনা আক্রান্ত এক তরুণের পরিবর্তে তার বড় ভাইকে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কীভাবে এমন ভুল হল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ আটছেন কর্মকর্তারা।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে একটি গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় গত ১০ মে রাতে তাকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ওই তরুণের বড় ভাই ওড়িষ্যার সম্বলপুরে সোনার দোকানে কাজ করেন। লকডাউনের আগে ওই তরুণ তার বড় ভাইয়ের কাছে গিয়ে আটকে পড়েন। তারপর কিছু পথ লরিতে ও কিছু পথ হেঁটে ৭ মে তারা ঝাড়গ্রামে পৌঁছান। ৭ মে তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৯ মে ১৮ বছরের তরুণের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
১০ মে রাতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে পুলিশ পাহারায় ওই তরুণকে বড় ভাইকে বড়মা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুলটি ধরা পড়ে গত ১৪ মে, ওই তরুণের পরিবর্তে তার ২২ বছরের বড় ভাইকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ১৮ বছরের তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ফের গ্রামে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা যান।
কিন্তু গ্রামবাসীদের ক্ষোভে ফিরে আসতে হয় তাদের। ওই তরুণের বড় ভাইয়ের রিপোর্ট কী এসেছে তা জানা যায়নি।
হাসপাতালে ভর্তি তরুণের দাবি করেন, এখানে আসার পরে চিকিৎসকরা আমার বয়স জানতে চান। তাদের কাছে যে কাগজ ছিল তাতে আক্রান্তের বয়স ছিল ১৮। সেটা আসলে আমার ভাইয়ের বয়স। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, আক্রান্তের পরিবর্তে তার ভাইকে হাসপাকালে পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের চূড়ান্ত সমন্বয়ের অভাবেই এমন ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, পুলিশের কাজ এসকর্ট দেয়া। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমাদের কিছু জানা নেই।
যদিও জেলা প্রশাসক আয়েষা রানি ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকাশ মৃধা করোনা বিষয়ে কিছু বলবেন না বলে জানিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ভুল হয়ে থাকলে সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
তবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাম দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাও বলছেন, গোলমালের বিষয়টি আমিও শুনেছি।
তবে ভর্তি হওয়া যুবক যদি করোনায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলেও ভয়ের কিছু নেই। করোনা চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.