সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    করোনার উৎস সন্ধানে তদন্তে যাচ্ছে চীন!

    101455_bangladesh_pratidin_donald-trump

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে একটি স্বাধীন তদন্ত করতে যাচ্ছে চীন। শুক্রবার জার্মানির একটি সাময়িকীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বার্লিনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত উ কেন এমন দাবি করেছেন। উহানের ল্যাবরেটরি থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি বলে মার্কিন অভিযোগের মধ্যেই চীনা কূটনৈতিক এমন তথ্য দিলেন।

    এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে চীন বলছে, এ ক্ষেত্রে তারা কোনকিছু গোপন করেনি। স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। জার্মানির দা স্ফিগাল পত্রিকাকে উ কেন বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছি। বিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণার বিনিময়কে আমরা সমর্থন দিচ্ছি। ‘কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো, অপরাধী সাব্যস্ত করা ও কথিত আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ অনুসন্ধানকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’

    এদিকে করোনাভাইরাস বিস্তারের মূল উৎস খুঁজতে একটি স্বাধীন তদন্তে অস্ট্রেলিয়ার দাবি গুরুত্বহীন করে ফেলায় হোয়াইট হাউসের প্রতি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। বৈশ্বিক মহামারী বিস্তারে চীনের গবেষণাগারের সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। এতে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশিদার বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে বেকায়দায় পড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।- খবর রয়টার্সের

    ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কোনো প্রমানাদি উপস্থাপন না করেই বেইজিংকে দায়ী করে তুমুল সমালোচনা করছে ওয়াশিংটন। ফলে অস্ট্রেলীয় স্বাধীন তদন্তের দাবিকেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন দোষারোপের রাজনীতির অ্যাজেন্ডার অংশ বলে যুক্তি দেখাচ্ছে বেইজিং। সবমিলিয়ে ক্যানবেরা একদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক চাপে রয়েছে, অন্যদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গেও সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

    যদিও করোনা প্রাদুর্ভাব ভালোভাবেই সামলে অর্থনীতিকে সচল করার পরিকল্পনা করছে ক্যানবেরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, আর অন্যতম বাণিজ্য অংশিদার চীন। এখন একটি খোলাখুলি ও বৈশ্বিক মনোভাবপূর্ণ পর্যালোচনা তুলে ধরতে কঠোর পরিশ্রম করছেন অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তারা। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী সিমন বার্মিহাম বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে এসব করিনি।

    আমরা নিজস্ব বিশ্লেষণ, প্রমাণ ও পরামর্শ থেকেই কথা বলছি। অস্ট্রেলীয় সরকার যা বলছে, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের উল্লেখযোগ্য ফারাক খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন। এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পম্পেও বলেন, উহানের গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাস আসার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। যদিও তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্ব প্রমাণের মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কাজেই কীভাবে আরেকটি মহামারী আসলে তা প্রতিরোধ করা যায়, তা বের করতেই তিনি তদন্তের কথা বলেছিলেন। শুক্রবার মরিসন বলেন, কোনো দেশকে উদ্দেশ্য করে তারা এই বক্তব্য দেননি।

    যাতে ফের এমন কোনো প্রাদুর্ভাব না ঘটে, তা নিশ্চিত হতে এই ভাইরাস কীভাবে এসেছে, তা জানতে চেয়েছি। অস্ট্রেলিয়া মনে করে, যদি একটি স্বাধীন তদন্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যায়, তবে চীনও তাতে সহায়তা করবে। কিন্তু ক্যানবেরার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশিদার চীন। কাজেই তদন্তের দাবি জোরদার করা হলে ইতিপূর্বে দুই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাবে।

    এর আগে গত মাসে অস্টেলিয়ার পণ্য বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। যেটাকে অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগের হুমকি বলে মনে করেছে মরিসন সরকার। 

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !