যে কারণে এশিয়া জুড়ে আঞ্চলিক বিরোধে জড়াচ্ছে চীন!
ভারতীয় সীমান্তে চীনা আগ্রাসন বৃদ্ধি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা না। একটি ধারণা তৈরি হয়ে গেছে যে এশিয়াজুড়ে চীন ভূখণ্ডগত বিতর্ক ব্যাপকভাবে উসকে দিচ্ছে। মূলত কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে চীনে বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো যাতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই দেশটি এমন ঝুঁকি নিতে যাচ্ছে। খবর-দ্য ইকোনোমিকস টাইমস
ভারত থেকে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং মালায়েশিয়া সীমান্তে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আগ্রাসনের হাওয়া বইছে মনে হচ্ছে। গবেষণা বলছে, এশিয়ার অন্যান্য বাজারগুলো পর্যাপ্ত স্থিতিশীল নয় বিনিয়োগ সরানো হতে পারে এমন পরামর্শের পরই পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গালওয়ান নদীর দুইপাশে চীন সেনা জড়ো করে ভারতীয় সীমান্ত লাদাখ ও সিকিমে তিন সপ্তাহ ধরে পরিষ্কারভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
খবরে বলা হচ্ছে, অমীমাংসিত সীমান্তে মাঝে মাঝে সেনা অবস্থান করে, তবে সেখানে দুটি দেশের একযোগে পদক্ষেপ বিরল। এ ছাড়া, আশংকা করা হচ্ছে, বিতর্কিত লিপুলেখ পাসের রাস্তা নিয়ে নেপালের সঙ্গে বর্তমান সীমান্ত সংঘাতও বেইজিংয়ের নীরব সমর্থন পেতে পারে। দক্ষিণ চীন সাগরে পিএলএ নৌবাহিনী আক্রমণাত্মক নৌ-মহড়া চালাচ্ছে। ভিয়েতনাম গত মাসে চীনা নৌবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করার পরে একটি মাছ ধরার নৌকা হারিয়েছে।
নয়া দিল্লির একটি মূল্যায়নে দেখা গেছে, সবগুলো সীমান্তে আগ্রাসনের কারণ হচ্ছে ১ হাজারের বেশি ফার্ম কোভিড পরবর্তী বিশ্বে চীন থেকে ভারত ও অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের জন্য আলোচনা করছে। ভারত ছাড়াও, আকৃষ্ট কাজের চেষ্টা করা কিছু দেশ চীন থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভিয়েতনাম হল আরেকটি সম্ভাব্য গন্তব্য যা অতীতে বাজার দখল করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া একটি জি-২০ অর্থনীতি। এটি ব্যবসায়ের জন্য চীনের বাইরে বিকল্প খুঁজছে। ইন্দোনেশিয়ার অনন্ত তিন জেলেকে হত্যার নেতৃত্ব ও ভার্চুয়াল দাসত্বের জন্য অভিযোগ এনে চীনা মৎস্য কোম্পানির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সরকার।এটিকে অমানবিক চিকিৎসা বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এছাড়া চীনা মাছ ধরার নৌকা ইন্দোনেশিয়া একচেটিয়া মৎস্য শিকার অঞ্চলে ঢোকার অভিযোগ এনেছে জার্কাতা। এতে চীন ও ইন্দোনেশিয়ার উত্তেজনার হুমকি রয়েছে। সূত্র বলছে, চীন বিভিন্ন দেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে চাপ সৃষ্টি করছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.