করোনায় ব্রিটেনে মৃত্যু ৪০ হাজার ছাড়াল!
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুরসংখ্যা চল্লিশ হাজার ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীতে ইউরোপে এটিই সর্বাধিক মৃত্যু। এতে কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
এমন এক সময় এই মৃত্যুর হিসাব এসেছে, যখন অর্থনীতিকে সচল করতে একটি ক্রমিক পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। এছাড়া লোকজনকে মাস্ক পরারও উপদেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও লকডাউন তোলায় তার পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির মানুষ বিভ্রান্তিতে আছেন।
স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ জানান, বরিস জনসন যে উপদেশ দিয়েছেন, তা কেবল ইংল্যান্ডে প্রয়োগ হবে। লোকজনকে তারা ঘরে থাকতে বলছেন। ব্রিটেনে এই বিশাল মৃত্যুর সংখ্যায় জনসনের ওপর চাপ বাড়ছে।
বিরোধী দলীয় নেতারা বলছেন, লকডাউন ঘোষণা করতে তিনি অতিরিক্ত সময় নিয়েছেন। ব্যাপক পরীক্ষার গতিও ছিল ধীর। এছাড়া হাসপাতালে যথেষ্ট সুরক্ষা সরঞ্জামও সরবরাহ করতে পারেননি টরি দলের এই প্রধানমন্ত্রী। কেয়ার হোমগুলোর উপাত্ত থেকে বিভৎস চিত্র উঠে এসেছে।
ভাইরাসের সবচেয়ে বড় সংক্রমণ ঘটেছে এসব কেয়ার হোমে। বিবিসির টেলিভিশনকে ওএনএস পরিসংখ্যানবিদ নিক স্ট্রিপ বলেন, কেয়ার হোমগুলোতে সংক্রমণ কমার গতি খুবই ধীর।
যেটা মারাত্মক দুঃখজনক। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল যে হাসপাতালের চেয়ে কেয়ারহোমগুলোতে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.