অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে !
মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ইতোমধ্যে প্রথম দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ করে পরবর্তী ধাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার (২২ মে) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মানবদেহে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরবর্তী ধাপ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
এবার তারা আরও কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবেন।
প্রায় ১০ হাজার ২৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর দেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপে ১০ হাজার ২৬০ জনকে যুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
মে ও জুন মাসের মধ্যে তাদের দেহে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই হয়তো এই গবেষণার ফলাফল জানা সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল গবেষণা ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা কত ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারছে তা মূল্যায়নে আমরা গবেষণা শুরু করেছি। তিনি বলেন, এটা জানা এখনই খুব কঠিন যে ভ্যাকসিন কবে থেকে কাজ শুরু করতে পারবে।
এর আগে ১৬০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রথম দফায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ওই স্বেচ্ছাসেবীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৫ বছর। দ্বিতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বয়স্ক ও শিশুদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুদের বয়স হবে ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
অপরদিকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী বিপুল জনসংখ্যার ওপর তৃতীয় দফায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তিন মাসের প্রচেষ্টায় চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন।
নভেল করোনাভাইরাসের দুর্বল প্রজাতির একটি অংশ ও জিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের আটটি ভ্যাকসিনের কাজ এগিয়ে আছে। সূত্র: এএফপি
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.