কুয়োর মধ্যে ৯ শ্রমিকের মরদেহ, বেতন না পাওয়ায় গণআত্মহত্যা!
করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে দীঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। এ সময় অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছেন আবার অনেকেই ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। এ কারণে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আর্থিক সংকট।
সেই আর্থিক সংকট সহ্য করতে না পেরে এবার পরিবারসহ ৯ শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে। পুলিশের দাবি সংকটে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তারা। খবর আনন্দবাজার।
তেলেঙ্গানার একটি গ্রামের কুয়ো থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন পশ্চিমবঙ্গের এবং একই পরিবারের। আর দু’জন বিহারের। একজন ত্রিপুরার।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক ধারণা এটা গণআত্মহত্যা। ঘরে ফিরতে পারছিলেন না ওই শ্রমিকরা। দুই মাস ধরে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন পাননি তারা।
কারও শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে হত্যার ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। ঘরে ফিরতে না পারা, আশ্রয় হারানো এবং চরম আর্থিক সংকট নিয়ে সকলের অবস্থা ছিল কোণঠাসা।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান পশ্চিমবঙ্গের মকসুদ আলম। কারখানার পাশে দুটি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন। লকডাউনে তার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। বাসায়ও থাকতে পারেননি।
তেলেঙ্গানার স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাদের। গুদামের কাছে ওই কুয়ো অবস্থিত। কুয়ো থেকে মিলেছে মকসুদ, তার স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের মরদেহ।
খবরে বলা হয়, ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চালাতেন। এ ছাড়া বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন। তারা সকলে একই কুয়ায় কীভাবে মারা গেলেন, পুলিশ তা নিয়ে এখনো অন্ধকারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি রাও জানিয়েছেন, শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য ট্রেন-বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হেঁটে যেন কেউ বাড়ির পথ না ধরেন।
সে দিনই গোরেকুন্টা গ্রামের ওই কুয়া থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার (২২ মে) মেলে আরও পাঁচজনের মরদেহ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.