লাতিন আমেরিকায় একসঙ্গে দুই মহামারী!
মশা |
দক্ষিণ আমেরিকায় যখন করোনাভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন, সরকারগুলো এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছে, তখন আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস নিভৃতে অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
আঞ্চলিক মহামারী ডেঙ্গু সেখানকার অধিকাংশ এলাকায় ছড়ালেও ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট মনোযোগ ও সম্পদের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন দাবি করেছে।
প্যান-আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থা(পিএএইচও) বলছে, চলতি বছরে ব্যাপক হারে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ঘটবে। যাতে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলোতে রোগী উপচে পড়বে।রোগীরা মারা যাবেন।
এমনকি কোভিড-১৯ রোগের চাপ না থাকলেও এমনটি ঘটবে। বিশ্বজুড়ে অন্যান্য রোগকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করছে করোনাভাইরাস। যদিও ইউরোপে করোনা ঠেকাতে নেয়া পদক্ষেপে ঋতুনির্ভর ফ্লু উধাও হয়ে গেছে।
আফ্রিকার সীমান্ত বন্ধ থাকায় হামের টিকার পরিবহন ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ডেঙ্গুকে বলা হয় হাড়-ভাঙা রোগ।
এতে মানুষের অস্থির জোড়া মারাত্মক ব্যথা হয়ে যায়। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ডেঙ্গু মহামারী ইতিমধ্যে দক্ষিণ আমেরিকাও অনুভব করতে শুরু করেছে।
গত বছর আমেরিকান অঞ্চলগুলোতে ৩১ লাখ লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যেটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।
পিএএইচও জানিয়েছে, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। কাজেই বছরের দ্বিতীয় অর্ধেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
আগের মহামারীর তিন থেকে পাঁচ বছর পর মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। চার ধরনের ডেঙ্গু মশা রয়েছে। এতে মানুষ প্রথম আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারও সংক্রমিত হতে পারে।
তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক রূপ নেয়। কলোম্বিয়ার স্যানটানডার প্রদেশের ফ্লোরিডাবালাংকা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জেইম গোমেজ বলেন, এখন কোভিডই তারকা।
সবার মনোযোগ এই ভাইরাস নিয়ে। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও রয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.