সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    বানরের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ, শতভাগ সাফল্য চীনের!


    image-299450-1587242928

    করোনাভাইরাস মহামারীর থাবায় বিশ্ব আজ জবুথুবু হয়ে পড়েছে। একের পর এক দেশে চলছে লকডাউন, স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। ঠিক এসম সময়ে সুখবর দিল চীন। সম্প্রতি বানরের শরীরে একটি নতুন উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) প্রয়োগ করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছেন চীনা গবেষকরা। 

    পিকোভ্যাক নামে ভ্যকিসিনটি তৈরি করেছে বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠ্যান সিনোভ্যাক বায়োটেক। এতে প্রচলিত ভাইরাসপ্রতিরোধী প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়েছে। কোনও প্রাণীর শরীরে এটি প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

    গত ৬ মার্চ সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন চীনা গবেষকরা। এর তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেয়া হয়।

    এক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের ফুসফুসে করোনার উপস্থিতি নেই, অর্থাৎ ভ্যাকসিনটি ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে।

    আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে।  গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে মানবদেহেও পিকোভ্যাকের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় পিকোভ্যাকই একমাত্র ভরসা নয়। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী।

    ইতোমধ্যেই হিউম্যান ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে এটি। তবে ভ্যাকসিন তৈরিতে একটি সমস্যার মুখে পড়তে পারেন চীনা গবেষকরা। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রমণ অনেক কমে এসেছে, বর্তমানে মাত্র কয়েকশ’ রোগী রয়েছেন সেখানে।

    ফলে কিছুদিনের মধ্যেই মানবদেহে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে তাদের জন্য।  ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই কারণেই।

    প্রসঙ্গত: শনিবার (৯ মে) সকালে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডো মিটারে সর্বশেষ আপডেটকৃত তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৩৭ জনের শরীরে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৪১ জন।

    বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ জনের শরীরে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ২ হাজার ৭৮১ জনের সংক্রমণ মৃদু এবং ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ২১ হাজার ৭৮৫ জনের শরীরে। দেশটিতে এ প্রাদুর্ভাবে মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৬১৫ জন। চীনে আক্রান্ত ৮২,৮৮৭ জন, মৃত্যু ৪,৬৩৩ জন আর ভালো হয়েছেন ৭৮,০৪৬ জন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !