সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    রেপ করার আগে অন্তত মুখটা দেখে নিস, না হয় পরে জানবি মেয়েটা তোর ই আদরে ছোট বোন?


    #দোস্ত মালটা কে রে?
    রাফি:জানিনা। এলাকায় নতুন মনে হয়।
    -আরে বাল রোজই তো ব্রীজে বসে কলেজ ছুটির
    টাইমে আড্ডা দেই। কিন্তু এই কালারের বোরকা
    পরা কোনো মেয়েকে তো দেখিনি। আজই প্রথম
    দেখলাম।
    রাফি:যাই বল মালটা কিন্তু খাসা।
    -মামা ফিগার দেখছিস? একদম উপরে ৩২ মাঝখানে
    ৩০ নিচে ৩৪।
    রাফি:বলিসনা রে খাইতে ইচ্ছে করতেছে।
    -এইযে সেক্সি ফিগারটা কে বানাইছে বয়ফ্রেন্ড?
    আমরা এলাকার ভাই আছি তো। আমাদের দিকে একটু
    নজর দাও। তুমি চাইলেই ৩২ কে ৩৬ করে দিতে
    পারবো।
    সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে ছেলেটা।
    স্কুল, কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং করে। যাইহোক
    যে মেয়েগুলোকে একটু আগে ইভটিজিং করলো
    তারা চলে যাওয়ার ১ ঘণ্টা পর রাজের ফোনে কল
    আসলো....
    রাজের মা:বাবা তুই কই?
    -কি হইছে মা? তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন?
    কান্না করছো কেন?
    রাজের মা:রোজা আর নেই।
    -মানে....
    ফোনের ওপাশ থেকে মায়ের মুখে কথাটা শোনার
    পরে আকাশ ভেঙ্গে পরে রাজের মাথায়। রোজা
    তার একমাত্র আদরের ছোট বোন। রোজা ওর
    কলিজার
    টুকরা। সেই রোজা নাকি মারা গেছে। রাজ এটা
    কেমনে মানবে?
    এক দৌড়ে বাসায় আসে রাজ। পুরো আঙ্গিনা
    লোকজনে ভর্তি। কান্নার রোল পরে গেছে। রাজ
    নিজেও কাঁদছে। হঠাৎ পাশে থাকা রাজের বন্ধু
    রাফি জিজ্ঞেস করে....
    রাফি:এ্যান্টি কিভাবে কি হলো?
    -জানিনা বাবা। কলেজ থেকে একটু আগে ফিরলো।
    কান্না করতে করতে ঘরে ঢুকে আর বের হলোনা
    আমার রোজা।
    রাফি:রাজ ভেঙ্গে পরিসনা। রোজার ঘরে চল তো।
    নিশ্চয় কোনো ক্লু পাওয়া যাবে।
    রাফি আর রাজ সোজা রোজার ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে
    দেখতে পায় রোজার পড়ার টেবিলে একটা চিরকুট
    বই চাপা দেয়া। রাজ সেটা হাতে নিয়ে পড়তে
    থাকে। চিরকুটে লেখা ছিল....
    "জানিস ভাইয়া আমাকে অনেকে তোর বিরুদ্ধে
    রিপোর্ট দিতো তুই নাকি খারাপ। তুই নাকি
    মেয়েদের ডিস্টার্ব করিস। জানিস সেদিন আমার
    বান্ধবী তন্নীর সাথে এটা নিয়ে ঝগড়া হইছিল।
    তন্নী
    আমার সাথে কথা বলেনা। কথা না বললে আমার
    কি? কেন ও আমার ভাইয়ার নামে মিথ্যে বদনাম
    করবে? আমার ভাইয়া কি সেরকম নাকি? আমার
    ভাইয়া ভাল ভাইয়া। আমার ভাইয়া পৃথিবীর সেরা
    ভাইয়া। ভাইয়া বিশ্বাস কর উপরের এই কথাগুলো
    এখন
    থেকে ১ ঘণ্টা আগেও আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস
    করতাম। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম রে ভাইয়া। ভাইয়া
    জানিস তোর দেয়া আমার জন্মদিনের সেদিনের
    ট্রিটের টাকাটা আমি নষ্ট করিনি। তোর জন্য একটা
    ঘড়ি কিনেছিলাম। ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ারে
    রাখা আছে। কিন্তু প্লিজ এটা পরিসনা। আমার
    হাতে কেনা কিছু পরার অধিকার তুই হারিয়ে
    ফেলছিস ১ ঘণ্টা আগে। ও হ্যাঁ আসল কথাই তো
    বলিনি আমি সেই টাকা দিয়ে একটা নতুন বোরকা
    কিনেছিলাম। তুই তো জানিস বোরকা আমি অনেক
    পছন্দ করি। যাইহোক এসব কথা তোকে বলে আর
    লাভ
    নাই। কলেজ থেকে আসার সময় ব্রীজের উপর নতুন
    যে
    মেয়েকে দেখে তুই মাল, সেক্সি বলেছিলি সেটা
    আমি ছিলাম রে ভাইয়া। তোর দেয়া টাকা দিয়ে
    কেনা নতুন বোরকা পরেছিলাম বলে তুই আমাকে
    চিনতে পারিসনি। কিন্তু আমি তোকে আজ চিনতে
    পেরেছি রে ভাইয়া। খুব ভাল করে চিনতে পেরেছি।
    ভাইয়া বিশ্বাস কর আমি মানতে পারতেছিনা রে।
    আমার ভাইয়া এমন? আমি তোর মুখের দিকে
    কিভাবে তাকাবো বল ভাইয়া? তুই ঐ মুখ দিয়ে কি
    কি বলছিস আমায়। ভাইয়া রে আমি পারবনা রে।
    আমি এই মুখ তোকে দেখাতে পারবনা রে ভাইয়া।
    আমি সেজন্য চলে যাচ্ছি অনেক দূরে চলে যাচ্ছি।
    তুই বলতিস না আমি তোর কলিজার টুকরা। ভাইয়া
    রে
    আমি তোর বোন তাই তোর কাছে আমি কলিজার
    টুকরা। কিন্তু আর যাদের ইভটিজিং করিস তারাও
    তাদের ভাইয়ের কাছে কলিজার টুকরা। ভাইয়া আমি
    জানি তুই আমাকে না চিনে এসব বলেছিস। প্লিজ
    ভাইয়া আর কোনদিন কাউকে এসব বলবিনা। আমি
    তো চলেই যাচ্ছি আমাকে আর ফিরে পাবিনা। সব
    মেয়েদের মাঝে আমাকে খুজে নিস তোর বোন
    হিসেবে। জানি এখন তুই কাঁদতেছিস। কাঁদিসনা
    ভাইয়া। আমিও সারা রাস্তা কান্না করছি। ভাল
    থাকিস ভাইয়া। আমাকে ক্ষমা করে দিস।"
    #বিঃদ্রঃ নিজের বোন কলিজার টুকরা অন্যের বোন
    মাল। এমনটা নয় রে ভাই। চলেন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই।
    বোন তো বোনই হোক সেটা অন্যকারো বোন। ভাই
    হিসেবে আমাদের দায়িত্ব প্রতিটা বোনের
    নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !