সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ভারতে অর্ধলাখ ছাড়াল করোনা আক্রান্ত !

    image-297683-1586665621

    ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধলাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে যেখানে প্রথম ১০ হাজার জনের সংক্রমণে সময় লেগেছিল দেড় মাস, সেখানে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার হতে সময় লেগেছে মাত্র চার দিন।   
    বিশ্বে মাত্র ১৩টি দেশে ভারতের চেয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। তবে এমন পরিস্থিতিতেও অর্থনীতি বাঁচাতে লকডাউন শিথিল করতে চাইছে দেশটি।  শর্ত সাপেক্ষে চালু হচ্ছে গণপরিবহনও। শিগগিরই নতুন কিছু বিধিনিষেধ সাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতীন গডকরি। 

    এদিকে ভারতে লকডাউনের মধ্যে মুম্বাই থেকে টানা ১২ ঘণ্টা হেঁটে বাড়ি গেলেন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী।  ভারতে মোট সাতটি রাজ্য-মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে ৩ হাজারের বেশি সংক্রমিত এবং এই রাজ্যগুলোতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৩ হাজারের বেশি, যেখানে গোটা ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৫৩৯ জন।

     অর্থাৎ এই সাত রাজ্যে গোটা দেশের মোট সংক্রমিতের ৮০ শতাংশের বাস। বুধবার ভারতে ৩ হাজার ৪৬৯ জন নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে, যা একদিনে সর্বাধিক, ব্যতিক্রম কেবল ৪ মে, যেদিন মোট ৩ হাজার ৮০০ সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল, যার মূল কারণ ছিল মহারাষ্ট্রে অনেকের আগে করা টেস্টের ফল এসেছিল ওইদিনে। 

    মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু মিলিয়ে বুধবার প্রায় ২০০০ জনের সংক্রমণের খবর এসেছে, গুজরাট ও দিল্লি থেকে এসেছে আরও ৮০০ জনের খবর। মহারাষ্ট্রে যে নতুন ১২৩৩ জনের নতুন সংক্রমণ মিলেছে, তার মধ্যে ৭৬৯ জন মুম্বাইয়ের। মুম্বাইয়ে পজিটিভিটির হারও অস্বাভাবিক রকম বেশি। 

    মুম্বাইয়ে যতজনকে টেস্ট করা হয়েছে তার ১৫ শতাংশ পজিটিভ, যেখানে এর জাতীয় গড় ৩ শতাংশ। সারা দেশে ১২.৭৫ লাখের বেশি জনকে টেস্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩ হাজারের বেশি পজিটিভ পাওয়া গেছে।  

    তবে অনেকে বলছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবসতির দেশ হয়েও করোনা মহামারীতে অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও কম। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের চেয়েও আক্রান্তের সংখ্যা কম। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থাতেই কঠোর লকডাউন আরোপ করায় তা কাজে দিয়েছে।  

    ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, অন্যতম জনবহুল শহর মুম্বাইকে ঘিরে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে সহায়তায় প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।  ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন শুরুর পর গত সপ্তাহে কিছু কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর আবারও অনুমতি দিয়েছে ভারত। কম সংক্রান্ত এলাকায় লকডাউন শিথিল করে লাখ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক সংকট লাঘবের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  

    ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত লকডাউন ১৭ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তেলেঙ্গানা রাজ্য কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ২৯ মে পর্যন্ত তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, মানুষ নিজে থেকেই লকডাউন বাড়ানোর আবেদন করেছে।  শর্তে গণপরিবহন চালু হচ্ছে : লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া গণপরিবহন ফের চালু করতে যাচ্ছে ভারত। 

    গণপরিবহন কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতীন গডকরি। বুধবার দেশটির বাস অ্যান্ড কার অপারেটরস ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

    শিগগিরই নতুন কিছু বিধিনিষেধ সাপেক্ষে রাস্তায় গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হবে বলে ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বাস দেন গডকরি।  যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান তিনি।

     ভারতীয় এই মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও গাড়িতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার রাখা ও অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  তবে কবে নাগাদ রাস্তায় যান চলাচল শুরু হবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি। 

    দেশটিতে দুই দফায় বাড়ানো লকডাউন আগামী ১৭ মে শেষ হবে। ১২ ঘণ্টা হেঁটে বাড়ি গেলেন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা : ভারতে লকডাউনের মধ্যে টানা ১২ ঘণ্টা হেঁটে নিজ বাড়িতে পৌঁছালেন নিকিতা নামে বছর বত্রিশের এক নারী।  

    ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রে। মুম্বাইয়ের ঘানশোলি থেকে মহারাষ্ট্রের বুলধানা গ্রাম ৪৮০ কিলোমিটারের পথ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দলটি হেঁটে যাত্রা শুরু করে ঘানশোলি থেকে।  

    এই দলে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীও ছিলেন। সঙ্গে রয়েছে সামান্য কিছু খাবার ও অল্প টাকা। নিকিতা বলেন, পথে? কিছুক্ষণ বসেছিলাম। তারপর ফের হাঁটতে শুরু করি। ওখানে থেকে আর কী করব। আমাদের জন্য তো আর খাবারের ব্যবস্থা নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। বাড়িতে ফিরতেই হতো।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !