করোনা চিকিৎসায় ‘বিস্ময়কর সফল’ এ ওষুধ আছে বাংলাদেশেও!
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য দেখাল পরজীবীনাশক ওষুধ ইভারমেকটিন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে। পরজীবী-বাহিত সংক্রামক চিকিৎসায় এ ওষুধ 'বিস্ময়কর'।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত। এদিকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলমও দাবি করেছেন বাংলাদেশেও ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনাভাইরাস রোগীদের সুস্থ করা সম্ভব।
ওষুধ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির এ সময়ে সার্স থেকে শুরু করে করোনা চিকিৎসায় এটি হবে একটি নতুন সম্ভাবনা। এদিকে এই ওষুধ প্রয়োগ করে যে সব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে আসছেন তারা বলছেন, ইভারমেকটিন প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর জীবাণু সংক্রমণ কমতে শুরু করে।
তবে ওষুধটি করোনার জন্য অনুমোদন না হলেও এটির ফলাফল নাটকীয়। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পাম বিচ কাউন্টিতে জরুরি মেডিক্যাল চিকিৎসক ডা. পেটার এইচ হিবার্ড বলেন, ‘আমরা বেশ আশাবাদী এই ওষুধটি নিয়ে। করোনা চিকিৎসায় এটি বেশ ভালো কাজ করছে।
আশা করছি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পাবে। তিনি জানান, অনেক দেশেই এটি চিকিৎসকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এমনকি মৃত্যু শয্যায় থাকা রোগীকেও এটি সুস্থ করে তুলতে পারেন বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, পরজীবীনাশক এ ওষুধ রোগীদের প্রথমে মুখে এক ডোজ দেয়া হয়। তার ৭ দিন পর আরেক ডোজ দেয়া হয়। এন্টিভাইরাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা জানান, টেস্টটিউবে দেখা গেছে এ ওষুধ জীবাণুকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউর্ড হেলথ মেডিক্যাল সেন্টারে গত সপ্তাহে জ্যঁ-জ্যাক রাজটের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক ইভারমেকটিন এর ওপর একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে তারা বলছেন, প্রায় ২৫০ জন করোনা রোগীর নাটকীয় ফল পেয়েছি। এই ওষুধ প্রয়োগে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এতে মৃত্যু শয্যায় থাকা রোগী ২৪ ঘন্টায় স্থিতিশীল হয়েছে এবং এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়েছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তার একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় এ ওষুধে সাফল্য পেয়েছেন।
তিনি গণমাধ্যমে জানান, প্রায় ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে গবেষণা করেছেন। ওই করোনাভাইরাস আক্তান্ত রোগীদের ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগ করার কারণে মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়া আর চার দিনে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন।
ডা. তারেক আলম বলেন, ‘এটি আমাদের অবাক করে দিয়েছে। এই ওষুধ দুটি এর আগেও সার্স মহামারির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত করেই বলছি, এই ওষুধ দুটির সম্মিলিত ব্যবহারে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্য দুটি ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।
আমাদের গবেষণার আওতায় ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ওষুধ দুটির সফল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে।’ সূত্র: নিউজম্যাক্স
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.